লিওনার্ড ভিক্টর ম্যাডককে চেনার কথা খুব ক্রিকেট ভক্তেরই। তবে যারা ক্রিকেটের পরিসংখ্যান ঘাঁটেন তাদের দু’একজনের কাছেও শোনার কথা তার নাম। জিম লেকারকে তো চেনেন! এই ইংলিশ ভদ্রলোক যখন অফব্রেক বোলার ছিলেন, ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল একটি রেকর্ড গড়েছিলেন। ১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই অস্ট্রেলিয়ার সব ক’টি (১০টি) উইকেট নিয়েছিলেন জিম লেকার। ইতিহাস সৃষ্টি করা ওই ইনিংসে লেকারের সর্বশেষ শিকার ছিলেন ল্যান ম্যাডক।অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটারকে এখনও না চিনে থাকলে, আরেকটু পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক। গত বছর আগস্টে আর্থার মরিস নামে এক ক্রিকেটারের মৃত্যুর পর সব মিডিয়ায় সংবাদ হয়েছিল, ‘অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে প্রবীন ক্রিকেটারের মৃত্যু।’সেই আর্থার মরিসের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রবীন ক্রিকেটারের খেতাবটা চলে এসেছিল ল্যান ম্যাডকের কাছে। ওই সময় সংবাদ মাধ্যমে এসেছিলো, মরিসের পর সবচেয়ে প্রবীন ক্রিকেটার হলে ম্যাডক। এবার এই প্রবীন ক্রিকেটারও বিদায় নিলেন পৃথিবী থেকে। ৯০ বছর বয়সে এসে হেরে গেলেন মৃত্যুর কাছে। লিওনার্ড ম্যাডকের ক্রিকেট ক্যারিয়ার খুব বেশি লম্বা ছিল না। খেলেছেন মোটে ৭টি টেস্ট ম্যাচ। ছিলেন উইকেটরক্ষম ব্যাটসম্যান। এই ৭ টেস্টে রান করেছিলেন মাত্র ১৭৭টি। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন ১২২টি। রান করেছেন ৪১০৬। সেঞ্চুরি ৬টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ২০টি।জিল ল্যাঙলির আমলে উইকেটরক্ষক ছিলেন অস্ট্রেলিয়া দলের। যে কারণে অনেক সফরে দলের সঙ্গে থাকলেও বসে থাকতে হয়েছিল সাইডলাইনে। প্রথম একাদশেই ম্যাডকের সুযোগ মিলতো কম। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে এমসিজিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক। ওই ম্যাচেই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছিলেন তিনি।পরের ম্যাচে অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন প্রায় ২০ বছর। তাসমানিয়া এবং ভিক্টোরিয়ার অধিনায়ক ছিলেন তিনি। যদিও তার আমলে তাসমানিয়া অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট লিগ শেফিল্ড শিল্ডে খেলার সুযোগ পায়নি তারা।ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ ট্যুরের সময় অস্ট্রেলিয়া দলের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। আইএইচএস/এমএস
Advertisement