আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথের কত মানুষের সঙ্গেই না পরিচয় হয়। কাউকে হয়তো আমরা অবাক হয়ে দেখি আবার কাউকে ভ্রু কুচকে! একজন মানুষকে আমরা তখনি গ্রহণ করি যখন তার অঙ্গভঙ্গি হয় গ্রহণযোগ্য। ফলে এ অঙ্গভঙ্গির জন্য আমাদের কাছে সেই মানুষটি হয়ে উঠে আকর্ষনীয়। যাকে এক কথায় বলা যায় তুলনাহীন। চলুন জেনে নেয়া যাক অঙ্গভঙ্গির কিছু নিয়ম- হাতের অঙ্গভঙ্গি যেন নেতিবাচক না হয়এটি অনেক বড় একটা বিষয়, আপনি আপনার হাতের অঙ্গভঙ্গি কি অর্থে ব্যবহার করছেন। হয়তো আপনার মনের অজান্তেই আপনি এমন একটি কাজ করে বসছেন যা আপনার পাশের মানুষটির জন্য অসহ্যকর হতে পারে। তাই কথা বলার সময় নিজের অঙ্গভঙ্গির দিকে খেয়াল রাখুন, যাতে অন্যরা আপনাকে ব্যক্তিত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় মনে করেন।আপনি যে অন্যর জন্য নিরাপদ তা বুঝানঅনেক সময় আমাদের করা কাজ অন্যর কাছে আক্রমনশীল করে তোলে। যার ফলে আপনার সঙ্গে হয়তো অনেকে সেভাবে মিশতে চায় না। আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে না। সেই ক্ষেত্রে নিজেকে তার কাছে তুলে ধরুন। বুঝান আপনি তার জন্য নিরাপদ। শুধু নিরাপদই না আপনি আপনার কাজ দিয়ে তার কাছে হয়ে উঠুন আকর্ষনীয়।সোজা হয়ে দাঁড়ান কিন্তু শিথিল ভাবেআপনার নড়াচরা অন্যের কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারে। এছাড়া আপনার অঙ্গভঙ্গি অন্যের কাছে অনৈতিক কিছুর ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই এসব দিকে সুক্ষ্ম দৃষ্টি রাখুন। যাতে আপনার আচরণ অন্যের কাছে মুল্যহীন নয় বরং মুল্যবান বা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।চিন্তাগ্রস্ত হয়ে কথা বলবেন নাআপনি হয়তো কোনো কিছু নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন, আর সেই চিন্তার কারণে কাছের মানুষটির কথা মন দিয়ে শুনছেন না। এই না শোনার ফলে সে আপনার প্রতি রাগান্বিত বা তার কাছে কমছে আপনার আকর্ষণ কমে যেতে পারে।হাসুনহাসলে মন যেমন ভালো থাকে তেমনি আশে পাশের মানুষরাও ভালো থাকে। গোমড়া মুখি মানুষদের কেউই পছন্দ করে না। ভাবে, তারা হয়তো তাকে পাত্তা দিতে বা সময় দিতে আগ্রহী না। ফলে আস্তে আস্তে কমতে থাকে বন্ধুত্ব বা আকর্ষণ।আরএস/এমএস
Advertisement