‘হাবিবের বয়স যখন মাত্র দুই বছর তখন সে আমার স্টুডিওতে বসে খেলতো। গানের নানা বাদ্য-সরঞ্জাম নিয়ে নাড়াচাড়া করতো। অতটুকু বয়সে থেকে গিটার, হারমোনিয়াম, পিয়ানো, বেহালার সঙ্গে ওর একটা সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর আমার স্টুডিওতে অনেক শিল্পীদের যাতায়াত ছিল। তারা হাবিবকে কোলে নিয়ে খুব আদর করতো। এভাবে ধীরে ধীরে সংগীতের সঙ্গে হাবিবের বসবাস শুরু হয়।’ কথাগুলো বলছিলেন হাবিবের বাবা জনপ্রিয় পপশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় এক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘সংগীত হচ্ছে সাধনার লব্ধ ফল। এটি চর্চার বিষয়। খ্যাতির আশা না করে মন থেকে যদি কেউ সুর-তাল-লয়ের সঙ্গে প্রেম করতে পারে, সাধনা করে তবে সে সাফল্য পাবে। যেমনটা হাবিব পেয়েছে। তাছাড়া হাবিবের সংগীত প্রতিভা গড গিফটেড। বিদেশে লেখাপড়া করতে গিয়েও সে গানটাকে মনের মধ্যে লালন করেছে।’ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের উদ্দেশে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘এখন অনেক নতুন শিল্পীরা আসছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে। রাতারাতি গাড়ি-বাড়ি হাঁকানোর চিন্তা না করে যারা গানকে ভালোবাসছে তারা টিকে থাকছে, বাকিরা ঝরে যাচ্ছে। তাই আমি নতুনদের উদ্দেশে বলতে চাই- গানকে ভালোবাসো, চর্চা করো।’ উদাহরণ টেনে ‘এমন একটা মা দে না’ গানের এই গায়ক আরো বলেন, ‘একজন মাঝি যখন নদীর বুকে নৌকা চালাতে গিয়ে গলা ছেড়ে গান গায়, তখন তার কিন্তু গানের সুর-তালের ঠিক থাকে না। তবে মাঝি গানটা একেবারেই মন থেকে গায়। ঠিক তেমননি নতুনদেরও একেবারেই মন থেকে গানকে ভালোবাসতে হবে। প্রযুক্তি নির্ভর না হয়ে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হবে।’ উল্লেখ্য, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের যোগ্য উত্তরসূরি বলা যায় তার ছেলে হাবিব ওয়াহিদকে। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন পিতা-পুত্র দু’জনেই। এনই/এনএফ/পিআর
Advertisement