বাগেহরহাট জেলার অধিকাংশ গরুর হাটে কেবল দেশি গুরুর সমারোহ। স্থানীয় খামারিরা দেশি প্রযুক্তিতে কুড়া, খৈল, ভুষি ও ঘাস খাইয়ে গরু মোটাতাজা করায় ক্রেতারা দেশি গরু কিনতেই বেশি আগ্রহী হয়। এছাড়া হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না থাকায় গরুর দামও তুলনামূলক ভাবে কম। প্রতিবছর কোরবারনি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জেলায় বিভিন্ন স্থানে ২০/২২টি হাট বসলেও কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারের হাট সবথেকে প্রশিদ্ধ। বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়কের পাকা রাস্তার পাশে খোলা মাঠ জুড়ে হাজার হাজার গরুর সমারোহ। ক্রেতারা কোনো ঝামেলা ছাড়াই এখান থেকে গরু ছাগল কিনে ভ্যান অথবা ছোট পিকআপযোগে বাড়িতে নিতে পারার সুবিধার জন্য জেলার অধিকাংশ লোকজন এ হাট থেকে কোরবানির পশু কিনে থাকেন। বাগেরহাট শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে পিরোজপুর-বাগেরহাট সড়কের পাশে অবস্থিত কচুয়ার বাধাল হাট। জেলার প্রসিদ্ধ হাটগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। জেলা সদরের যাত্রাপুর হাট ও দেপাড়া হাটেও হাজার হাজার কোরবানির পশু কেনাবেচা হয়ে থাকে। এছাড়া বাগেরহাট শহরের গুনিগঞ্জ বালুর মাঠেও গত দুই বছর ধরে কোরবানির পশুর হাট বসছে। কোরবানির এখনো বেশ কিছুদিন বাকি। তবে দামের সঙ্গে পছন্দের গরুটি কিনতে আগে ভাগেই হাটে ছুটছেন শহরে বসবাসকারীদের অনেকে।বাধাল হাটে গরু কিনতে আসা বাগেরহাটের ব্যবসায়ী পারভেজ খান বলেন, প্রতি বছর তিনি এই হাট থেকেই কোরবানি গরু কিনে থাকেন। এবছরও অনেক গরু হাটে উঠেছে। বেশ কয়েকটি গরুর দাম এক দেড় লাখ টাকা হাকা হচ্ছে। হোসেন শেখ বাবার সঙ্গে গরু কিনতে হাটে এসেছেন। তিনি বলেন, যে গরু পছন্দ হয় তা দামের সঙ্গে মেলে না। তবে এবার গরুর দাম গত বছরের থেকে কিছুটা কম। বাধাল হাটের গরু বিক্রেতা হামিদ ঢালী এবার দেশি ৮টি গরুসহ বিদেশি জাতের ৩টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। দেশি গরুর প্রতিটির দাম ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং বিদেশি জাতের গরু এক একটির দাম ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। হাট ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, অন্য হাটের থেকে বাধাল হাটের পরিবেশ ও খাজনার হার কম হওয়ার পাশাপাশি এখানে চাঁদাবাজদের দৌরত্বও নেই। পুলিশের হস্তক্ষেপ ছাড়াই হাট ইজারা কমিটির লোকজন হাটের দেখভাল করে থাকেন।হাট ইজারাদার দের আয়োজনে বেজায় খুশি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। প্রতিবছর এ হাটে কোনো ঝামেলা ছাড়াই কোরবানির পশু বিক্রি হয়। এখানে গরুর পাশাপাশি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে তবে তা গরুর তুলনায় কম।এফএ/পিআর
Advertisement