জাতীয়

সন্তানের পাশে খালেদা জিয়া

আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশে তার গুলশান কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ পৌঁছায় গুলশান কার্যালয়ে।প্রিয় ছেলেকে শেষ বারের মতো দেখতে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে বেশিরভাগ সময় খালেদা জিয়া ঘুমের মধ্যে থাকলেও ছেলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তিনি।গুলশানের একটি সূত্র জানায়, সকাল থেকে বিষন্ন মনে কাতর হয়ে ছিলেন খালেদা জিয়া। ছেলের মুখটি শেষ বারের মতো দেখতে তিনি পাগলপ্রায় হয়ে আছেন। খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয়রাও সঙ্গে রয়েছেন। সকাল থেকেই তিনি কিছুই খাননি। এমনকি কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণও করেছেন তিনি।আরেকটি সূত্র জানায়, কোকোর অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বেগম জিয়া। এজন্য তিনি জ্ঞান ফিরে ফেলেই বারবার চিৎকার করে কান্না কররছেন।এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে কোকোর মরদেহ বহনকারী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে মরদেহ সরাসরি গুলশান কার্যালয়ে নেয়া হয়।কোকোর মরদেহ গ্রহণের জন্য বেলা ১১টায় বিএনপির কয়েকজন নেতা বিমানবন্দরে যান। তাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফজলুল হক মিলন, গিয়াস কাদের চৌধুরী, আবদুল মান্নান প্রমুখ।এর আগে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় কুয়ালালামপুর থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান (এমএইচএমএইচ-১০২ নং ফ্লাইট) কোকোর মরদেহ নিয়ে যাত্রা করে।মঙ্গলবার বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে কোকোর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।প্রসঙ্গত, গত শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রে ক্রিয়াবন্ধ হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো।বিএ

Advertisement