আইন-আদালত

মোরশেদ খানসহ ৩ জনের মামলার পুনঃতদন্তের রায় ৯ নভেম্বর

বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোরশেদ খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার পুনঃতদন্তের বিষয়ে রায় ঘোষণা করার জন্য ৯ নভেম্বর দিন ঠিক ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।মামলা পুনরায় তদন্ত চেয়ে দুদকের করা আবেদন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে মোরশেদ খানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। এর আগে, এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কেন পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৫ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে মোরশেদ খানসহ তিনজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। সেই রুলের ওপর বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়েছে। এদিনই আদালত রায়ের এই দিন ঠিক করেন। খুরশিদ আলম খান বলেন, দুদকের করার আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।তিনি জনান, মানি লন্ডরিং নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় ২০১৫ সালের জুলাই মাসে দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনায় কোনো মানি লন্ডারিং ‘হয়নি’। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন ১৫ এপ্রিল বিচারিক আদালত গ্রহণ করলে মোরশেদ খান, নাসরিন খান ও ফয়সাল মোরশেধ খান অভিযোগ থেকে অব্যহতি পান।জানা গেছে, হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের ওই হিসাবটি ২০০৮ সাল থেকে এক প্রশাসনিক আদেশে জব্দ করে রাখে হংকংয়ের পুলিশ। এরপর তারা বাংলাদেশে চিঠি দিয়ে জানায়, নতুন কোনো পদক্ষেপ না থাকলে ওই অ্যাকাউন্ট তারা খুলে দেবে। এ অবস্থায় দুদক মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয় এবং পুনঃতদন্তের জন্য বিচারিক আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়। ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ২ জুন দুটি আবেদনই খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে।মামলার এজাহার অনুযায়ী, মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট টেলিকম লিমিটেডের মাধ্যমে মোট ১১টি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে ৩২১ কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। মোরশেদ খান বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এ অর্থ পাচার করেন। দুদক বিভিন্ন ব্যাংকে ফারইস্ট টেলিকমের নামে চারটি এফডি হিসাব, একটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড হিসাব, একটি ইউএসডি কারেন্ট হিসাব ও একটি ইউএসডি সেভিংস হিসাব খুঁজে পায়। এ ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে মোরশেদ খানের নামে একটি ইউএসডি সেভিংস ও একটি হংকং ডলার সেভিংস হিসাব এবং ওই ব্যাংকে ছেলে ফয়সালের নামে একটি ইউএসডি সেভিংস ও একটি হংকং ডলার সেভিংস হিসাবে এসব অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে।এফএইচ/এআরএস/আরআইপি

Advertisement