বিচার বিভাগের গতিশীলতা আনয়ন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে অধস্তন আদালতের প্রতি চার দফা নির্দেশনা জারি করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। ২২ জানুয়ারি তিনি এ নির্দেশনা জারি করেন বলে সূত্র জানিয়েছে।চার দফার মধ্যে রয়েছে- ১. জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করবেন না। ২. জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজগণ ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডার, ভলিউম-১ এর বিধি ৪৮০ অনুযায়ী প্রতি তিন মাস অন্তর বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের আয়োজন করবেন। সম্মেলন অবশ্যই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শনিবার) আয়োজন করতে হবে এবং সম্মেলনের কার্যবিবরণী সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠাতে হবে। ওই সম্মেলনে বিধিতে বর্ণিত বিচারক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। ৩. চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণ ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডার, ভলিউম-১ এর বিধি ৪৮১ অনুযায়ী প্রত্যেক মাসে অবশ্যই পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলনের আয়েজন করবেন। সম্মেলনের কার্যবিবরণী সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠাতে হবে এবং এতে বিধিতে বর্ণিত বিচারক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকতে হবে।৪. জেলা ও দায়রা জজ/অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজগণ ফৌজদারি বিবিধ মামলাগুলো নিষ্পত্তি করে দায়রা/অন্যান্য বিশেষ আইনের মামলাগুলোর বিচার কাজ শুরু করবেন এবং অবশ্যই প্রত্যেক কর্মদিবসের অপরাহ্নে অর্থাৎ ২টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে দেওয়ানি আপিল/দেওয়ানি রিভিশন/ফৌজদারি আপিল/ফৌজদারি রিভিশন এবং অন্যান্য মূল দেওয়ানি মামলাগুলোর বিচারকার্য সম্পন্ন করবেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচার বিভাগের গতিশীলতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি এসব নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। বিশেষ করে অনেক জেলা জজ দুপুরের পরে আর এজলাসে ওঠেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অনেকে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতি ছাড়াই কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এসব দিক মাথায় রেখে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এআরএস
Advertisement