ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির কাছে শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়ার কোনো নিয়ম কারা বিধিতে নেই। এটা শুধুমাত্র নাটক আর সিনেমাতেই দেখা যায়। বাস্তবে কারা বিধি মেনেই ফাঁসি কার্যকর করা হয়।বুধবার বিকেলে কারা অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন কারা মহাপরির্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ সাতদিন সময় দেয়া হবেও জানান তিনি। প্রাণভিক্ষা না চাইলে শেষ ইচ্ছার বিষয়ে কোনো কিছু জানতে চাওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আইজি প্রিজন বলেন, মীর কাসেম আলীর কাছে শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হবে না। অন্যসব দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর ন্যায় তিনিও কারা বিধির বেশি সুবিধা পাবেন না। আর শেষ ইচ্ছা বলতে কিছু নেই। কারা বিধি অনুযায়ী এ ধরনের কোনো বিষয় আমরা পালন করি না। এসব শুধু সিনেমা নাটকেই দেখা যায়, বাস্তবে নয়। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট ) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। পরে বিকেলে পাঁচ বিচারপতির স্বাক্ষরিত ২৯ পৃষ্ঠার রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।রায় প্রকাশের পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান ট্রাইব্যুনালে রায়ের কপি পৌঁছে দেন। আজ সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে রায় পড়ে শোনানো হয়। রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় এখন তার সামনে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে। প্রাণভিক্ষা না চাইলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনগত আর কোনো বাধা থাকবে না।জেইউ/জেএইচ/আরআইপি
Advertisement