নারায়ণগঞ্জের সরকার দলীয় এমপি শামীম ওসমান যে ভাষায় সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের সাংবাদিক সমাজ।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও কুদ্দুস আফ্রাদসহ চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ক্ষমা প্রার্থনা করে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শামিম ওসমানের পারিবারের উজ্জ্বল চিত্র তুলে ধরে সংসদে ও সংসদের বাইরে শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যে বক্তব্য রেখেছেন, দুঃখজনকভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে শামিম ওসমানের বক্তব্যে তার পরিবারের সেই উজ্জ্বলতার কোনো প্রমাণ মেলে না। বরং শামিম ওসমানের উচ্চারিত শব্দাবলী, বক্তব্য এবং তার দেহের ভাষায় যে শিক্ষা, রুচি ও সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটেছে তা তার নিজস্ব শিক্ষা, রুচি, রাজনীতি ও পারিবারিক সংস্কৃতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন সংসদ সদস্যের এই নীচু স্তরের মানসিকতা গোটা সংসদের মর্যাদাকেই হেয় করে। একজন সংসদ সদস্যের এমন আচরণে সংসদের মর্যাদা যে কোনোভাবেই বৃদ্ধি করে না তা নিশ্চয়ই জাতীয় সংসদের অভিভাবক স্পিকার অনুধাবন করবেন।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জাতীয় সংসদের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থেই এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, শামিম ওসমান তার বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রীই যে তার অভিভাবক এ কথা বলার মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিক ও গণমাধ্যম বিরোধী অরুচিকর ও অশালীন আচরণের সঙ্গে প্রধামন্ত্রীর নামটিও জড়িয়ে ফেলছেন। এটি আমাদের সবার জন্যই বিব্রতকর।শামিম ওসমানকে ইতহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রবল ক্ষমতাধরদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই এ দেশের সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রেও কোনো হুমকি-ধমকির মুখে তা কখনই থেমে যাবে না। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শামিম ওসমানকে তার কথা, আচরণ, শব্দপ্রয়োগ ও ব্যবহারে সংযত হওয়ার পরামর্শ দেন।
Advertisement