সফর শব্দের অর্থ হলো ভ্রমণ করা। অর্থাৎ যে কোনো প্রয়োজনে নিজের স্থায়ী বসবাসের স্থান ছেড়ে অন্য কোথাও গমন করাই সফর। ইসলামি শরিয়ত কর্তৃক নির্দিষ্ট পরিমান জায়গা সফরে অতিক্রম করলে নামাজ কসর (সংক্ষিপ্ত) করে আদায় করতে হয়। কারণ সফরে অধিকাংশ সময় কষ্ট হয়ে থাকে আর ইসলাম দয়া ও সহজের দ্বীন। তাই সফর অবস্থায় নামাজ কসর করে আদায় করা ইসলামের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্যও বটে। নামাজের কসর প্রসঙ্গে একটি হাদিস তুলে ধরা হলো-হজরত ইয়া’লা ইবনে উমাইয়া বলেন, আমি হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে যখন বললাম, আল্লাহ বলেন, ‘নামাজকে কসর করে আদায় করলে তোমাদেরপ্রতি পাপ নেই; যদি ভয় কর যে, যারা কাফের (অবিশ্বাসী) তারা তোমাদেরকে ফেৎনায় ফেলতে পারে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১০১)তখন তিনি (হজরত ওমর) বললেন, তুমি যেমন আশ্চর্য হচ্ছ; আমিও তেমনি আশ্চর্য হয়ে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উত্তরে তিনি (বিশ্বনবি) বলেন, ‘ইহা একটি দান; যা আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি (রহমতস্বরূপ) দান করেছেন। অতএব, আল্লাহর দান কবুল করে নাও।’ (মুসলিম)আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য সফর অবস্থায় চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজসমূহকে দুই রাকাআত করে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। সফরের দূরুত্ব এবং কত দিন পর্যন্ত স্থায়ী বসবাসের বাইরে অবস্থান করলে নামাজ কসর করে পড়তে হবে তা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হবে।বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব থেকে হজের সফর চলছে; এ হজের সফরে নামাজকে কসর আদায় করা আল্লাহর বিধান। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকল সফরের নিয়মের আওতায় অবতীর্ণ ব্যক্তিকে চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ কসর করে পড়ে তার হুকুম পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement