ধর্ম

যে সম্পদের ওপর জাকাত প্রযোজ্য

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য পরিপূর্ণ জাকাত ব্যবস্থা পেশ করেছেন। জাকাতের সময়, পরিমাণ, নিসাব, যাদের ওপর জাকাত ফরজ এবং যারা জাকাতের হকদার ইত্যাদি বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি এ জাকাত ব্যবস্থায় ধনী ও দারিদ্র্য উভয় শ্রেণীল স্বার্থের প্রতি পূর্ণ খেয়াল রেখেছেন।যে সকল সম্পদের জাকাত দিতে হবে-আল্লাহ তাআলা সম্পদশালী ও তার সম্পদকে পবিত্র করার জন্যই জাকাতকে ফরজ করেছেন। এ জাকাতের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা ধনীদের নিয়ামাতের হিফাজত করেছেন। যে ব্যক্তি জাকাত প্রদান করে থাকে সে নিয়ামাত শূন্য হওয়া থেকে নিরাপদ থাকার পাশাপাশি সম্পদের বরকত এবং বৃদ্ধি হয়। তাই যে সকল সম্পদের ওপর জাকাত প্রযোজ্য সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-আল্লাহ তাআলা চার প্রকার মাল বা সম্পদের ওপর জাকাতকে ফরজ করেছেন। কেননা এগুলো মানুষের মাঝে সর্বাধিক আদান-প্রদান ও হস্তান্তরিত হয় এবং এ গুলোর প্রতিই মানুষের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।ক) জমিন থেকে উৎপন্ন ফসল ও ফল।খ) সোনা-রূপা তথা যেগুলো অর্থনৈতিক লেনদেনের মূল ভিত্তি।গ) ব্যবসায়িক বিভিন্ন পণ্য।ঘ) চতুষ্পদ জন্তু; যেমন- গরু, ছাগল, উট ইত্যাদি।মুসলমানের জন্য এ গুলোর জাকাত প্রদান করতে এর সময়, পরিমাণ, নিসাব, যাদের ওপর জাকাত ফরজ এবং যারা জাকাতের হকদার ইত্যাদি বিষয়াবলী ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হবে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত সম্পদের জাকাত প্রদান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস

Advertisement