লাইফস্টাইল

গর্ভকালীন ব্যায়ামের টিপস

সুস্থভাবে সন্তান জন্মদানের জন্য গর্ভবতী মায়েদের সঠিক উপায়ে যত্ন নেয়া প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, বিশ্রাম, ইত্যাদির পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের জন্য রয়েছে কিছু ব্যায়ামও। সঠিকভাবে সেসব ব্যায়াম করলে সুস্থ সন্তান জন্মদান সহজ হয়। তবে গর্ভবতী মায়েরা নিজেকে পরিশ্রান্ত করবেন না। আপনার ম্যাটারনিটি টিম যদি বলে অথবা আপনার গর্ভকাল বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনাকে অপেক্ষাকৃত ধীরে ব্যায়াম করতে হবে, কোনো সংশয় হলে তাদের পরামর্শ নিন। সাধারণত এমনভাবে ব্যায়াম করবেন যাতে ব্যায়াম করার সময় কথা বলার শক্তি ধরে রাখতে পারেন। যদি দম ফেলতে কষ্ট হয় তাহলে বুঝবেন আপনি বেশি চাপ নিয়ে ব্যায়াম করেছেন।গর্ভধারণের আগে আপনি যদি কর্মতৎপর না থাকেন তাহলে হঠাৎ করে কষ্টকর ব্যায়াম করতে যাবেন না। আপনি যদি অ্যারোবিক (acrobic) ব্যায়াম শুরু করে থাকেন তবে আপনার প্রশিক্ষককে বলুন যে, আপনি গর্ভবতী এবং প্রথমে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩ বার, একটানা ১৫ মিনিটের বেশি ব্যায়াম করবেন না। এটাকে ধীরে ধীরে সপ্তাহে চারদিন প্রতিবার সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন।মনে রাখবেন ব্যায়াম উপকারে লাগার জন্য কষ্টকর হতে হয় না।গর্ভকালীন অবস্থায় ব্যায়ামের কয়েকটি টিপস -ব্যায়াম শুরুর আগে সব সময় নিজেকে ওয়ার্ম আপ (warm up) করে নিন এবং ব্যায়ামের পরে জিরিয়ে (cool down) নিন।দৈনিক আধঘন্টা হাঁটাই যথেষ্ট। যদি সেটা করতে না পারেন যেটুকু পারেন সেটুকুই করেন। সেটা কিছু না করার চেয়ে ভালো।   গরম আবহাওয়ায় যেকোন কষ্টকর ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন।প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল খাবার পান করুন।আপনি যদি কোনো ব্যায়ামের ক্লাসে যান তবে অবশ্যই নিশ্চিত করুন যেন আপনার প্রশিক্ষক গর্ভবস্থায় ব্যায়াম করানোয় অভিজ্ঞ হন এবং আপনি কয়মাসের গর্ভবতী তা তিনি অবহিত আছেন।আপনি সাঁতার কাটতে পারেন, কারণ পানি আপনার বর্ধিত ওজনকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে সহায়তা করে। কোনো কোনো সুইমিংপুলে যোগ্য প্রশিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করা হয়।এইচএন/এএ

Advertisement