আন্তর্জাতিক

তুরস্কে পুলিশ সদর দফতরে বোমা বিস্ফোরণে বহু হতাহত

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সিজারে শহরে পুলিশ সদর দফতরে বোমা বিস্ফোরণে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি প্রাথমিকভাবে ৯ জন নিহত ও ৬৪ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওই পুলিশ সদর দফতর বোমা বিস্ফোরণে ৯ জন নিহত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা স্থানীয়দের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণে পুলিশ সদর দফতরের ভবনটি ধসে পড়েছে। অশান্ত তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের সর্বশেষ এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। এদিকে, বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পেছনে কারা জড়িত তা স্পষ্ট না হলেও দেশটির গণমাধ্যম হামলায় নিষিদ্ধঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দোষারোপ করছে। তুরস্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পিকেকের লড়াইয়ের সময় গত কয়েকমাস আগেও এই শহরটিতে বেশ কয়েকবার কারফিউ জারি করা হয়েছিল। তুরস্কের টেলিভিশন এনটিভি প্রচারিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত সিরনাক প্রদেশের ওই পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রচুর ধোঁয়া উড়ছে। আহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্সের বহর ছুটছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া এবং ইরাক সীমান্তের সিরনাকে কুর্দিপন্থী অনেক নাগরিকের বসবাস রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু বলছে, গত জুলাই মাসে সরকার ও কুর্দি বিদ্রোহীদের যুদ্দবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর ওই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়েছে আসছে পিকেকে। সর্বশেষ এই হামলায়ও পিকেকের দিকে আঙুল তুলেছে আনাদোলু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক সরকার কুর্দিপন্থী বিদ্রোহী পিকেকে`কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভূক্ত করেছে। ১৯৮৪ সালে বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে পিকেকেপন্থীদের সংখ্যাই বেশি।এসআইএস/এমএস

Advertisement