ইতালিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জীবিতদের উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়েছে আসছে। রিখটার স্কেলে বুধবারের ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী কম্পনের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্নির্মাণের জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৫০ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো কমপক্ষে ৩৬৫ জন। দ্বিতীয় রাতের মত ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে জীবিতদের সন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত শতাধিক আফটার শক অনুভূত হওয়ায় ৫ হাজার কর্মীর উদ্ধারপ্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কর বাতিল করে গৃহ নির্মাণের জন্য নতুন একটি পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। তিনি বলেন, ‘ইতালি ভূমিকম্পরোধক ভবন নির্মাণ করতে পারে এ ধরনের চিন্তা হাস্যকর’। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ভবন নির্মাণের গুণগত মান নিয়ে ইতালির গণমাধ্যমে সমালোচনার জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে তিনটার দিকে আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দেশটির রাজধানী রোম থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং উৎপত্তিস্থল ছিল ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাট্রাইস, আরকোটা, অ্যাকিউমলি, আম্ব্রিয়া ও পেসকারা দেল টরন্টো। এসব এলাকায় ভবন ও সেতু ধসে পড়ায় জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে; শুধুমাত্র হেঁটে ধ্বংসস্তূপের কাছে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। এই এলাকাগুলো পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় ছিল।রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনসা নিউজ অ্যাজেন্সি বলছে, শুধুমাত্র আমাট্রাইস শহরেই দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। শহরের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ভূমিকম্পে অন্তত ৩ ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তবে ব্রিটেন সরকার বলছে, ইতালিতে ভূমিকম্পে ১১ ব্রিটিশ নাগরিক নিখোঁজ রয়েছে। এর আগে, ২০০৯ সালের এপ্রিলে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সে সময় অন্তত ৩০৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। এসআইএস/এমএস
Advertisement