ধর্ম

ঝগড়া বিবাদকারী ব্যক্তির ক্ষমা প্রসঙ্গে বিশ্বনবি

ঝগড়া বিবাদ, দ্বন্দ্ব-কলহ মানুষের জন্য অনেক ক্ষতিকর বিষয়। আল্লাহ তাআলা যখন পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির কথা ফেরেশতাদেরকে জানালেন, তারা আল্লাহর নিকট যে বিষয়টি জানালেন, তাহলো যে, মানুষ দুনিয়াতে ফাসাদ তথা কলহ সৃষ্টি করবে। দুনিয়াতে ঝগড়া বিবাদ বা দ্বন্দ্ব-কলহ অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ এবং ফাসাদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি অবশ্যই অপরাধী। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজা খোলা হয়। মামার বলেন সুহাইল ব্যতিত অন্যরা বলেছেন, প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার (বান্দার) আমল পেশ করা হয়। অতঃপর আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে না; তবে ঝগড়াকারী দুই ব্যক্তি ব্যতিত। আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বলেন, এদেরকে অবকাশ দাও; যতক্ষণ না তারা মীমাংসা (সমঝোতা) করে নেয়। (মুসনাদে আহমাদ)এ হাদিস থেকে সুস্পষ্টভাবে ঘোষিত হলো যে, আল্লাহ তাআলা সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল প্রত্যক্ষ করেন এবং আমলকারী বান্দাদেরকে ক্ষমা প্রদান করেন। কিন্তু আমলকারী ঐ সকল বান্দাকে তিনি ক্ষমা করেন না, যারা তাঁর সঙ্গে অংশিদার স্থাপন করে এবং পরস্পর ঝগড়া ফাসাদ সৃষ্টি করে। তবে শিরককারীকে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা না করলেও ঝগড়াকারীদেরকে মীমাংসা তথা সমঝোতা সাপেক্ষে ক্ষমা করে দেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরক মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। ঝগড়া বিবাদ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর নিকট ভালো আমল উপস্থাপনের তাওফিক দান করুন। সর্বোপরি আল্লাহ ক্ষমা ও দয়া লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement