আন্তর্জাতিক

৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস

৭২ ঘণ্টার যুুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। গাজায় টানা ২৪ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার পর উভয়পক্ষ এই অস্ত্রবিরতিতে রাজি হলো। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।জতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই যৌথ বিবৃতি দেন।যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার সকালেই মিসরীয় সরকারের সঙ্গে উভয়পক্ষের (হামাস ও ইসরায়েল) আলোচনা শুরু হবে। মিসরের আমন্ত্রণে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।গাজায় গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও কমপক্ষে ৮ হাজার ৩৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অপরদিকে এ পর্যন্ত ৫৮ ইসরায়েলি সেনা ও তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।এর আগে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

Advertisement

কোস্টারিকা সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘আজ সকালে জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরে হাজারো ফিলিস্তিনি পরিবার তিরস্কারযোগ্য হামলার শিকার হয়েছে। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এ ঘটনা দায় ও বিচার দাবি করে।’ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান পিয়েরে ক্রাহেনবৌল বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। এখন ইসরায়েলকে দায়ী করার সময়।’ ইউএনআরডব্লিউএ’র মুখপাত্র ক্রিস গানেস  ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।তিনি বলেন, ‘এটা এমন এক সময় যখন চোখের পানি কথার চেয়েও অনেক বেশি কিছু বলে।’ গাজায় শিশু ও শরণার্থী শিবিরের ওপর ইসরায়েলি বর্বর হামলার বিবরণ দেন তিনি। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের কর্মী নিহত হওয়ার কথাও জানান গানেস।

তিনি আরও বলেন, ‘এটা (হামলা) কখন শেষ হবে... জাতিসংঘের ৮৬টি শরণার্থী শিবিরে এখন ২ লাখ ২৫ হাজার ১৭৮ ফিলিস্তিনি রয়েছেন। গাজা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এর পর এই লোকগুলো কোথায় যাবে?’ সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স, এপি

Advertisement