ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে ট্রেনের সঙ্গে বরযাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১১ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে বারোবাজার রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতাল ও কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় খুলনার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।নিহতরা হলেন- সুজয়, বিপ্লব, শোভন, সুবীর, কৌশিক, কৃষ্ণা, পর্না ও উজ্জ্বল। প্রাথমিকভাবে অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি। এদের মধ্যে ৯ জন ঘটনাস্থলে ও একজন কালীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।এদিকে ঘটনার সাড়ে সাত ঘন্টা পর খুলনা-ঢাকার মধ্যকার রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করে। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাসরিন জাহানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।আহত বাসযাত্রীরা জানান, সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী ট্রেন সীমান্ত এক্সপ্রেসের সঙ্গে বরযাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি কালীগঞ্জ উপজেলার শাকো মোথনপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে একই জেলার শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে যাচ্ছিল।
Advertisement