আইন-আদালত

রিভিউয়ের সুযোগ ছিল না আমরা দিয়েছি : প্রধান বিচারপতি

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ শুরুতে ছিল না। পরবর্তীতে কাদের মোল্লার রায়ের মাধ্যমে রিভিউয়ের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।বুধবার মীর কাসেম আলীর রিভিউ শুনানির সময় আবেদনের শুনানিতে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ কথা বলেন।বুধবার সকালে শুনানির শুরুতেই মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সময় আবেদন করেন। মীর কাসেমের ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম ওরফে আরমানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার কাছে সমস্ত কাগজপত্র ছিল তাই এই সময় আবেদন করা হয়।জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা যথেষ্ট সময় পেয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতা সত্বেও আপনাদের এক মাস সময় দিয়েছিলাম। এই আইনে তো রিভিউ করার সুযোগই ছিল না। আমরা সেই সুযোগ দিয়েছি। এই কোর্ট দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ সময় বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দণ্ডপ্রাপ্তদের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ করার কোনো সুযোগ আইনে ছিল না। আপিল বিভাগ অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে কাদের মোল্লার মামলার রায়ে রিভিউ করার সুযোগ দিয়েছে। এখন বলছেন তার ছেলেকে কিছু সাদা পোষাকধারী ব্যক্তি তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু আপনি আছেন, মিস্টার শাহজাহান (মীর কাসেমের আরেক আইনজীবী) এখানে উপস্থিত আছেন। তাই আপনারা ডিসকাস করতে পারতেন। রিভিউয়ের স্কোপ তো খুব সীমিত। দুটি গ্রাউন্ডে কেবল রিভিউ করা যায়। এখানে তো ম্যাটেরিয়ালস ইনস্ট্রাকশন আপনারা উপস্থাপন করবেন। জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অল ম্যাটার্স সেখানে। সমস্ত কাগজপত্র তার (আরমানের) কাছে ছিল। বাসায়ও কেউ নেই। কয়েকটি কাগজ দেখিয়ে তিনি বলেন, এই যে এই কয়টা কাগজ আমার কাছে আছে। আমি গত রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। ভেবেছিলাম তাকে (আরমান) আদালতে উপস্থাপন করা হবে বা কারাগারে পাঠানো হবে। তখন তার সঙ্গে পরামর্শ করব। কিন্তু সেটা করতে পারিনি।  মামলার রেকর্ড নেই। আমি অসহায়। এ অবস্থায় আমি শুনানি করব কিভাবে ? এসব না পেলে এখন আমার মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এফএইচ/এআরএস/এমএস

Advertisement