ছন্দ সব সময় থাকে না, আর সোনালী প্রজন্মও পাওয়া যায় না। দুর্দান্ত কিছু দল কালের স্রোতে হারিয়ে ফেলে ঐতিহ্য। কেউ বা নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকে। আবার কোনো কোনো দলের এমন হয় যে সময় ভালো, আবার সময় মন্দ। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য! ২০০২ সালে বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলে থাকা রবার্তো কার্লোস, রোনালদিনহো, রোনালদো, কাকা, রিভালদোদের যুগটা বেশ ভালোই গেছে। এরপর সেলেকাওরা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না! ঠিক সেটা বলা যাবে না, তবে কালক্রমে ওই দলের মতো জুটি আসছে না। হঠাৎ কোনো ফুটবলার জ্বলে ওঠেন, আবার হারিয়ে যান। এভাবে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এমন একটি পর্যায়ে এসেছে ব্রাজিল দলের। অলিম্পিক ফুটবলে প্রথমবারের মতো সোনা জয় ছাড়াও ব্রাজিল পেয়েছে নতুন প্রজন্মকে। নেইমার, গ্যাবিগোল, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, লুয়ানের মতো তরুণ প্রতিভাদের হাতে ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ যথেষ্ট উজ্জ্বল। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল। অলিম্পিকেও হট ফেবারিট ছিল জার্মানরা। ফাইনালে সেই জার্মানিকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে সেলেকাওরা। এবারে ঘরের মাঠের আসরে সোনা ঘরেই রাখলেন নেইমাররা।অলিম্পিকে এই সোনা জয় ব্রাজিলকে কতটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, তা সময়েই বলে দেবে। তবে বিশ্ব খেলাধুলার সবচেয়ে জমজমাট আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল জানান দিলো, এখনও ফুরিয়ে যায়নি তারা। হারিয়ে খোঁজা সাম্রাজ্যকে ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে নেইমার-গ্যাবিগোল-জেসুস-লুয়ানদের অক্সিজেন হিসেবে কাজ করবে অলিম্পিকের এই সোনা। ‘সোনালী প্রজন্ম`-এ জেগে উঠুক ব্রাজিল। ভক্তদের প্রত্যাশা এমনই।এনইউ/এবিএস
Advertisement