আইন-আদালত

তৃতীয় দফায় পেছালো নিজাম হাজারীর রায়

আওয়ামী লীগের (ফেনী-২ আসন) এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার দিন তৃতীয় বারের মত পেছালো। আজ এই রায়ের দিন ঠিক থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী ৩০ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত।মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ নিজাম হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী। গত ১৭ আগস্ট মামলাটি রায়ের জন্য রাখা হয়েছিল। তবে নিম্ন আদালতে বিচারের আগে নিজাম হাজারী কতদিন কারাভোগ করেছেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা না দেওয়ায় ২৩ আগস্ট নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়। এর আগেই সেসব নথিপত্র হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে জমা দিতে বলা হয়। সেই নথি আসায় আজ তার ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ আগস্ট নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়। এর আগে আরো দুবার পিছিয়েছে রায় ঘোষণার দিন। ‘আড়াই বছর সাজা কম খেটে বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে দৈনিক প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু ২ বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্যপদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর ৫ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্যপদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ছিলেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন। রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রুল দেন। এরপর হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ এই রুল শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি। এই বেঞ্চে চলতি বছর ১৯ জানুয়ারি রুল শুনানি শুরু হয়।নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্যপদ নিয়ে দেওয়া রুল শুনানিতে গত ২৬ মে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ এক আদেশে বলেন, কারা কর্তৃপক্ষকে নিজাম হাজারীর সাজা ভোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে। পরে কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, ১০ বছরের সাজার মধ্যে তিনি সাজা খেটেছেন ৫ বছর ৮ মাস ১৯ দিন। কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাজা রেয়াত পেয়েছেন ১ বছর ৮ মাস ২৫ (৬২৫ দিন)। রেয়াতসহ মোট সাজা ভোগ করেছেন ৭ বছর ৫ মাস ১৪ দিন। এখনো সাজা খাটা বাকি আছে ২ বছর ৬ মাস ১৬ দিন। এফএইচ/জেএইচ/এমএস

Advertisement