বিনোদন

আমরা গৎবাঁধা প্রেমের গল্পেই আটকে আছি : পূর্ণিমা

চট্টগ্রামের মেয়ে। সারাদেশ জয় করেছেন মোহনীয় সৌন্দর্য আর মন ভুলানো হাসি দিয়ে। রোমান্টিক নায়িকা হয়ে রুপালি পর্দায় তার সাবলীল অভিনয় দাগ কেটেছে কোটি প্রেমিকের হৃদয়ে। আজো তিনি অনেক পুরুষের স্বপ্নে দেখা অধরা রাজকন্যা। বলছি চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার কথা। পুরো নাম হানিফ দিলারা। ডাক নাম রীতা। চলচ্চিত্রে নাম লেখাতে এসে তিনি ঢাকাই ছবির আকাশে পূর্ণিমা হয়ে উদিত হয়েছেন। সেই ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবি দিয়ে রিয়াজের বিপরীতে অভিষেক হয় তার। তারপরের গল্পটা ইতিহাস হয়ে আছে।ইন্ডাস্ট্রিতে সমসাময়িক প্রায় সব নায়ক ও পরিচালকদের সঙ্গেই তিনি কাজ করে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপারহিট ছবি। তরে চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে পূর্ণিমার জুটি ঢাকাই ছবিতে সফল জুটির উদাহরণ হয়ে থাকবে। ২০১০ সালে কাজী হায়াতের ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী আলোচনায় এসেছেন দেশের অন্যতম বিপণন প্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপের দুটি পণ্যের মডেল হয়ে। তারই একটি টপার প্রেসার কুকারের বিজ্ঞাপন নির্মাণ হয়েছে। সানবীম আশরাফের নির্দেশনায় গেল শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর কোক স্টুডিওতে এর শুটিংয়ে অংশ নেন পূর্ণিমা। সেখানেই তিনি মুখোমুখি হলেন জাগো নিউজের। সঙ্গে ছিলেন লিমন আহমেদ এবং আলোকচিত্রী মাহবুব আলম

Advertisement

জাগো নিউজ : আরএফএল`র সঙ্গে যুক্ত হলেন। নতুন অভিজ্ঞতা। কেমন লাগছে?পূর্ণিমা : খুব ভালো। আরএফএল দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এমন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচারের দায়িত্ব নেয়াটা একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জের তেমনি উপভোগেরও। আশা করছি ভালো কিছু হবে।জাগো নিউজ : আজকের বিজ্ঞাপনের কনসেপ্টটি কেমন?পূর্ণিমা : যেহেতু প্রেসার কুকারের বিজ্ঞাপন তাই গৃহিণীদের নিয়েই এর আইডিয়াটি তৈরি করা হয়েছে। আমি একজন সচেতন গৃহিণী। আমি জানি রান্নায় সময় এবং অর্থ বাঁচায় আরএফএল টপার প্রেসার কুকার। বিষয়টা চিরাচরিত হলেও পরিচালক সানবীম আশরাফ উপস্থাপনটা বেশ চমৎকারভাবে করেছেন। জাগো নিউজ : একই প্রতিষ্ঠানের আরো একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সেই বিজ্ঞাপনটি কবে হবে?পূর্ণিমা : সেটি নিয়ে এখনো তেমন করে কথা হয়নি। আপাতত জানি এই বিজ্ঞাপনটি ঈদের আগে প্রচারে আসবে।জাগো নিউজ : এছাড়া আর কোনো বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন?পূর্ণিমা : না। আমি আসলে পণ্য দেখেশুনে বিজ্ঞাপনে কাজ করি। অনুরোধের ঢেঁকি গিলে হয়তো দুই একটি বিজ্ঞাপন করেছি যেগুলোর সঙ্গে নিজের পছন্দের সংঘর্ষ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ টিভিসিগুলোই ছিলো মানসম্পন্ন পণ্যের। সেগুলোর নির্মাণেও ছিলো মুন্সিয়ানার ছাপ। তারমধ্যে রিয়াজের সঙ্গে ঝিলিক রঙের বিজ্ঞাপনটি দারুণ একটি কাজ ছিলো। পণ্যের গুণাগুণ, বাজেট, কনসেপ্ট পছন্দ হলে তবেই কাজ করি। তেমন করে আপাতত কারো সঙ্গে কথা হয়নি।জাগো নিউজ : এ তো গেল বিজ্ঞাপনের কথা। নাটক-টেলিছবিতে কাজের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেন?পূর্ণিমা : প্রথমেই গল্প। গল্প ভালো না লাগলে কাজ করার আগ্রহ পাইনা। আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। যখন নাটকে কাজ করতে এলাম অনেক সমালোচনা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন ছোট পর্দায় কাজ করলে ফিল্মের নায়িকাদের ইমেজ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমি ছোট পর্দাতে কাজ করার পরেও বেশ কিছু সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছি। আমার মনে হয়, মান ধরে রেখে কাজ করলে পর্দা বড়-ছোট কোনো বিষয় নয়। দর্শকদের ভালো লাগলে সব পর্দাতেই তারা গ্রহণ করবেন। তাই আমি চেষ্টা করি প্রথমেই একটি ভালো গল্প বাছাই করতে। তারপর নিজের চরিত্রের প্রতি মনোযোগ দেই। অবশ্য একটি মানসম্পন্ন নির্মাণের জন্য পরিচালক, সহশিল্পী এবং কার বিপরীতে কাজ করছি এটাও বিবেচনা করি আমি।জাগো নিউজ : প্রসঙ্গ টেনেই বলছি। রিয়াজের বিপরীতে আপনাকে কখনো ছোট পর্দায় দেখার সুযোগ পাননি দর্শক। অথচ চলচ্চিত্রে আপনাদের জুটি ছিলো অনবদ্য। রিয়াজ তো আজকাল ছোট পর্দাতে নিয়মিতই অভিনয় করছেন। তবে একসঙ্গে আপনাদের দেখা যায় না কেন?পূর্ণিমা : আসলে ব্যাটে বলে মিলেনি বলে। জাগো নিউজ : শুধু তাই, নাকি আরো কোনো গল্প আছে? শোনা যায় রিয়াজের সঙ্গে বন্ধুত্বটা আগের মতো নেই। নিজেরাই একসেঙ্গ কাজ করতে চান না। সত্যি?পূর্ণিমা : আমি জানিনা কারা এমন কথা ছড়ায়, কেন ছড়ায়! একজন সহশিল্পী হিসেবে রিয়াজ আমার খুব পছন্দের। ওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বিশাল। আমি সবসময়ই ওর সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমার মনে হয় রিয়াজও তাই। আমাদের জুটি করে অনেকেই নাটক করতে চেয়েছেন। কিন্তু দুজনের টাইমিং না হওয়াতে সেটি আর হচ্ছে না। নিশ্চয়ই আমরা আগামীতে জুটি হয়ে নাটকে কাজ করবো।জাগো নিউজ : তবে বলছেন আপনাদের একসঙ্গে কাজ করা নিয়ে যা ছড়িয়েছে সবটাই রটনা?পূর্ণিমা : অবশ্যই। দেখুন, যখন আমরা চলচ্চিত্রে জুটি হয়ে কাজ করেছি তখনও অনেক কথা বাজারে বেরিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটারই সত্যতা মিলেনি। আসলে কিছু লোক এইসব গল্প ছড়াতে মজা পায়। এর বেশি কিছু নয়। জাগো নিউজ : নতুন একটি ছবিতে কাজ করার কথা শুনেছিলাম। সেটির কী খবর?পূর্ণিমা : ছবিটি হচ্ছে না। জাগো নিউজ : তবে চলচ্চিত্রে আপনাকে দেখার সম্ভাবনাটাও শেষ?পূর্ণিমা : আপাতত তাই। আমি চলচ্চিত্রে সবসময়ই অভিনয় করতে চেয়েছি। কিন্তু আমার পক্ষে তো স্কুল-কলেজের ছাত্রী হয়ে প্রেমের জন্য পাগল চরিত্র মানায় না। আমি যেসব চরিত্রে কাজ করলে দর্শক গ্রহণ করবে সেইসব চরিত্র এখনকার ছবিতে নেই। ইন্ডাস্ট্রিটা দিন দিন যেভাবে তলিয়ে যাচ্ছে, যেভাবে ছোট হয়ে যাচ্ছে সেখানে তেমন কিছু প্রত্যাশা করার সাহস পাই না। জাগো নিউজ : গেল ঈদে তো চারটি নতুন ছবি দারুণ ব্যবসা করেছে। অনেকে আবারো ঢাকাই ছবির সুদিন দেখছেন। আপনার কাছে এটি ইতিবাচক মনে হয় না?পূর্ণিমা : অবশ্যই এটি ইতিবাচক। বহুদিন পর বেশ কিছু ছবিতে লগ্নির টাকা ঘরে তুলে নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রযোজকেরা। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে এটা সাময়িক। একটা দুইটা সুপারস্টার দিয়ে কিছুদিন খুঁড়িয়ে চলা যায় বটে; ইন্ডাস্ট্রি রক্ষা হয় না। সবসময় এখানে একসঙ্গে ডজন খানেক সুপারস্টার প্রতিযোগিতা করেছেন। আমি নিজেও যখন কাজ করতে এলাম দেখলাম মৌসুমী, শাবনূর আপারা কাজ করছেন। পপি ছিলো, সিমলা এবং আরো অনেকেই ছিলো। প্রত্যেকেই সুপারস্টার ছিলো। কিন্তু আজকে? প্রতিযোগিতা কোথায়? বাজারই তো নেই। যিনি বা যারা সুপারস্টার হয়ে বছরে তিনটি চারটি ছবি হিট করাচ্ছেন দুদিন পর তাদের জনপ্রিয়তাতেও ভাটা পড়বে। কেননা, এখানে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক-প্রেমিকার বাইরে গিয়ে গল্প নির্মাণ হয় না। কেউ ভাবেনও না। কিন্তু একটা বয়স শেষে এইসব চরিত্রে অভিনয় করা যায় না। তখন আপনি কী করবেন? আপনি তো দেখতে পাচ্ছেন, পরবর্তীতে আপনার হাতে আর কোনো সুপারস্টার নেই। তবে কার উপর ভরসা করবেন? পৃথিবীতে একমাত্র আমাদের এখানেই প্রেমে পাগল নায়ক-নায়িকা কেন্দ্রিক ছবি নির্মাণ হচ্ছে। এখানে প্রেমের বাইরে গিয়ে আর কিছু ভাবা যায় না। নায়ক-নায়িকাকে উপস্থাপনের কোনো নতুনত্ব নেই; বৈচিত্র নেই। অথচ পাশের দেশেই দেখুন প্রেমেরও কতো বৈচিত্র! ভালোবাসার কতো রঙ। প্রতিনিয়তই সেখানে নতুন কিছু হচ্ছে।জাগো নিউজ : তবে এর উত্তরণ কোথায়?পূর্ণিমা : উত্তরণ আমাদের হাতেই আছে। গল্প ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। চরিত্র ভাবনায় বৈচিত্র আনতে হবে। প্রেম আর নায়ক-নায়িকাকে প্রাধান্য না দিয়ে মানুষের জীবন ও অভিনয়শিল্পীদের প্রাধান্য দিতে হবে। এতে করে ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই কাজের সুযোগ পাবে। আমি নাচানাচি করতেই পারি যদি সেটা আমার সাথে মানানসই হয়। বলিউডে পঞ্চাশ বছর বয়সেও মাধুরী-কাজলরা ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন। মাধুরী তো তার সময়ের নায়ক শশী কাপুরের ছেলে রণবীর কাপুরের সঙ্গে আইটেম গানেও নেচেছেন। শাহরুখ, অমিতাভ, রজনীকান্তদের নতুন নতুন চরিত্র দিয়ে হাজির করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এখানে কী হচ্ছে? নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, ফেরদৌসরা আজ চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন না। ববিতা, চম্পা, মৌসুমী, শাবনূররা অনিয়মিত। কেন? এইসব শিল্পীরা কী জনপ্রিয় নন? তাদের কী অভিনয়ের ক্ষমতা নতুন করে প্রমাণ করতে হবে? তবে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যাটা উপস্থাপনে। আজকাল গল্পে পরিবারের প্রাধান্য নেই। চরিত্রদের বিস্তৃতি নেই। একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যেই চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানেই কত চমৎকার ছবি হয়েছে। একসঙ্গে রাজ্জাক-আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন-ওমর সানী, মান্না-আমিন খান, রিয়াজ-ফেরদৌস, শাবনূর-মৌসুমীরা এক ছবিতে অভিনয় করেছেন। আমিও মান্না ভাই, শাবনূর আপাকে নিয়ে এক ছবিতে কাজ করেছি। এখন কী এসব হচ্ছে? দিন দিন ছোট হয়ে আসছে আমাদের ভাবনা ও সৃষ্টি। তাই ইচ্ছে থাকলেও আমার মত অভিনেত্রী চলচ্চিত্রে কাজ করতে পারছি না। যদিও বা দুই একজন ব্যতিক্রম ভাবনা ভাবতে চান নানা সমস্যায় তারা আটকে যাচ্ছেন। আসলে সিস্টেমটাই কেমন জানি হয়ে গেছে! উত্তরণে এই সবকিছু নিয়েই ভাবতে হবে। আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। মেধাবী তরুণদের পাশাপাশি সিনিয়রদেরও কাজ করতে হবে। সিনিয়রদের অভিজ্ঞতার মূল্যায়ণ করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিটাকে গন্ডীবদ্ধ না করে এটিকে বিস্তৃত করতে হবে। বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি আর্ট ফিল্মের বাজারও তৈরি করতে হবে। শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস, খেলাধুলা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। যখন কাজ বাড়বে তখন চাহিদা বাড়বে। আপনা থেকেই বাজার বড় হবে।জাগো নিউজ : আপনারা সিনিয়ররাও তো এ ব্যাপারে কিছু ভূমিকা রাখতে পারেন?পূর্ণিমা : অবশ্যই পারি। কিন্তু তার জন্য সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। স্বার্থ বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রে নিবেদিত প্রাণ হতে হবে। আর এ কথাও সত্যি, আমাদের মধ্যে একতা খুব কম। নেই বললেও বোধ করি ভুল হবে না। সবাই এক হয়ে একটি পদক্ষেপ নিতে পারলে অবশ্যই সব অপশক্তি ভয় পেত, তাদের মোকাবিলা করা যেত। আবার অনেক সিনিয়র আছেন যারা আপোস করে নিয়েছেন সকল মন্দের সাথে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে ইন্ডাস্ট্রির ভালো-মন্দটা কেউ ভাবছেন না। জাগো নিউজ : আপনার সমসাময়িক অনেকেই চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনায় জড়িয়েছেন। আপনার এমন কোনো ইচ্ছে আছে?পূর্ণিমা : না। এমন কোনো পরিকল্পনা আমার নেই।জাগো নিউজ : কোরবানী ঈদের নাটক নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?পূর্ণিমা : কিছু কাজ করেছি। আরো কিছু কাজ করার কথা হচ্ছে। এরমধ্যে হানিফ সংকেত, এস এ হক অলিক, রেদওয়ান রনিসহ আরো বেশ ক’জন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করবো।জাগো নিউজ : আপনি অনেক সিনিয়র পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আবার বর্তমানে অনেক তরুণদের সঙ্গেও কাজ করছেন। আলাদাভাবে এর মূল্যায়ণটা কীভাবে করবেন?পূর্ণিমা : এটা আসলে ভালো মন্দে মেশানো। তরুণরা কিছু ব্যতিক্রমী ভাবনার কাজ করছেন। তবে অভিজ্ঞতাটা নতুনদের সাথে আমার খুব বেশি সুখকর বলা যাবে না। আমি দেখেছি নতুনরা সিনিয়রদের সম্মান দিতে চায় না। সিনিয়রদের মূল্যায়ণ করতে পারে না। শুটিং স্পটে প্রায়ই বিব্রতকর ঘটনা ঘটে। নতুনদের মধ্যে কাজ শেখার আগ্রহ বা ধৈর্য্য দুটোরই বড় অভাব। তারকাখ্যাতি এদেরকে আচ্ছন্ন করে রাখে। আজকালকার পরিচালকরাও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ণ না করে জনপ্রিয়তা দিয়ে সবকিছু বিচার করেন। এটা বেদনাদায়ক। জাগো নিউজ : এবার সংসারী পূর্ণিমার গল্প বলুন। আপনার রাজকন্যা আরশিয়া কেমন আছে?পূর্ণিমা : আরশিয়া খুব ভালো আছে। যখন শুটিং থাকে না তাকে নিয়েই সময়টা কেটে যায়। চেষ্টা করি সংসারটাকে নিজের মতো করে উপভোগ করতে। দোয়া করবেন।জাগো নিউজ : অবসরে কী করেন?পূর্ণিমা : স্বামী ও কন্যাকে সময় দেই। আমি প্রচুর বই পড়ি। পড়ে পড়ে টুকটাক লেখালেখিরও অভ্যেসও হয়েছে। নিরিবিলি সময় পেলে লেখি। কবিতা, গল্প। যখন যা আসে। জাগো নিউজ : অসংখ্য ধন্যবাদ সময় দেয়ার জন্য। জীবন আরো প্রাণবন্ত হোক.....পূর্ণিমা : আপনাকেও ধন্যবাদ। জাগো নিউজ এবং তার পাঠকদের শুভেচ্ছা।এলএ/এইচআর/এবিএস