আগামী ৭ অক্টোবর এমবিবিএস ও ৪ নভেম্বর ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে এমবিবিএস ও বিডিএস পৃথকভাবে গ্রহণের এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিতদের একজন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। ইতোপূর্বে ভর্তি পরীক্ষা ২০০ নম্বরের হলেও এবার ভর্তি পরীক্ষা হবে ৩০০ নম্বরের। এসএসসি ও এইচএসসি (এসএসসি ৭৫ ও এইচএসসি ১২৫) মিলিয়ে ২০০ ও ভর্তি পরীক্ষার ১০০ মিলিয়ে মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হবে। আসন্ন মেডিকেল ও ডেন্টাল উভয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৯ যা গত বছর ৮ ছিল। উপজাতিদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৭ থেকে ৮ করা হয়। জানা গেছে, ২০০ নম্বরের মধ্যে এসএসসিতে প্রাপ্ত মোট নম্বরের শতকরা ৪০ ভাগ ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা ৬০ ভাগের ওপর একজন শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা পূর্ব নম্বর নির্ধারিত হবে। মেডিকেল ও ডেন্টাল উভয় পরীক্ষার জন্য একই শর্ত প্রযোজ্য হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৫ অনুসারে দেশে বর্তমানে ১০০টি মেডিকেল (সরকারি ৩০, বেসরকারি ৬৪ ও আমর্ড ফোর্সেস ৬টি) ও ৩৩টি ডেন্টাল (৯টি সরকারি ও ২৪টি বেসরকারি) রয়েছে। এমবিবিএসে মোট আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৬৭৯ ও বিডিএসে ১ হাজার ৮৩২টি।সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিচার্স কাউন্সিল (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিএসএমএমইউর ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদুল হাসান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা.এম ইকবাল আর্সলান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানসহ রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন। এমইউ/এসএইচএস/এবিএস
Advertisement