বিশেষ প্রতিবেদন

গ্রেনেড হামলায় ‘নিহত’ মাহবুবা এখনও জীবিত

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সারা শরীরে বিদ্ধ অসংখ্য স্প্লিন্টার নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন সাভারের মাহবুবা পারভীন। অথচ ওই সময় তাকে মৃত ভেবে রাখা হয়েছিল লাশ ঘরে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা ওই লাশ ঘরে রাখা মরদেহগুলোর খোঁজ করতে গিয়ে মাহবুবার মধ্যে প্রাণের স্পন্দন দেখতে পান। এতে জীবন ফিরে পান মাহবুবা। ‘দ্বিতীয় বারের মতো জন্ম নেয়া’ ওই মাহবুবা এক যুগে পদার্পণ করলেন আজ। তবে মাহবুবা পারভীনের এই জীবন ছিল দুর্বিষহ কষ্টের। শরীরের ভেতরে থাকা গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের যন্ত্রণায় কাতর করেছে তাকে। কেড়ে নিয়েছে রাতের ঘুম। ব্যাহত করেছে স্বাভাবিক চলাফেরা। বাধ্য হয়ে এক সময় রাজনীতি থেকেও বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। মাহবুবা পারভীনের বাড়ি সাভার পৌরসভার ব্যাংক কলোনি মহল্লায়। ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী হিসেবেই সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।  ‘মঞ্চের একেবারে সামনে ছিলাম। সিনিয়র নেতাদের বক্তব্য শেষে যখন নেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া শুরু করবেন- ঠিক তখনই বিকট শব্দে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হল, আমি মাটিতে লুটিয়ে পরে গেলাম’- এভাবেই সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন মাহবুবা পারভীন।  সেদিনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হতভাগ্য একজন সাক্ষী মাহবুবা। হামলার পর তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই দেশের বাইরে ভারত এবং ব্যাংককে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মাহবুবাকে। এখন অনেকটাই সুস্থ সেই ‘মৃত’ মাহবুবা!  নৃশংস্য ওই হামলার জন্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দায়ী করে মাহবুবা পারভীন বলেন, তারেক রহমান জড়িত না থাকলে এত বড় হামলা কিছুতেই সম্ভব ছিল না। কই এখন তো খালেদা জিয়ার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয় না! তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা দরকার। যেন এমন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার আর কেউ না হয়। অাল-মামুন/একে/পিআর

Advertisement