বিশেষ প্রতিবেদন

‘আপা আমাদের সমস্যা সমাধান করবেন’

‘আমাদের চাওয়া তো অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করছেন, আমরা উনাকে বিরক্ত করি না। অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের ভালো না। মোটামুটি চলতে পারি। আমাদের কিছু সমস্যা আছে। আপা নিজেই আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন।’এভাবেই নিজেদের প্রত্যাশার কথা বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম মামুন।বাবার পথ অনুসরণ করে নিজেও হাতে তুলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের পতাকা। সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিগত কমিটিতে। বর্তমানে তিনি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বাবার আদর্শকে ধারণ করেই চলছি। বাবা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রায়ই খোঁজখবর নেন। আমাদের কিছু সমস্যা আছে। আপা নিজে আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন।’২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত রফিকুল ইসলাম ‘আদাচাচা’ নামেই জনপ্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগের মিছিল সমাবেশে সুঘ্রাণযুক্ত মসলা মেশানো আদার টুকরা বিতরণ করতেন বলে ‘আদাচাচা’ নামে তিনি পরিচিত হন। আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচিতে আদাচাচা যাননি, এমনটি ঘটতো না কখনো। আর আদা আনতেও ভুল হতো না তার। মিছিল সমাবেশে দলের নেতাকর্মীরা যেন হাঁপিয়ে না ওঠেন সেজন্যই সবাইকে চাঙা রাখতে আদা বিতরণ শুরু করেন আদাচাচা।৬৯৮/১/এ সিপাহীবাগের একতলাবিশিষ্ট বাসাতেও আওয়ামী লীগের মিছিল সমাবেশের আগে মসলা মেশানো আদার টুকরো বানানো হতো বলে জানান তার মেয়ে মায়া। স্থানীয় রোকাইয়া কিন্ডারগার্টেন নামে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি।আওয়ামী লীগের কোনো সমাবেশই রফিকুল ইসলাম বাদ দিতেন না। তেমনি আদা ছাড়াও যেতেন না। নানা বিপদাশঙ্কায় তার মা বাধা দিলেও তিনি নাকি কখনোই সে নিষেধ মানতেন না। তাদের যৌথ পরিবারে আর্থিক টানাপড়েন যে যথেষ্ট তাও তাদের বর্তমান অবস্থাই বলে দিচ্ছিল। তবু কোনো অভিযোগ তারা করলেন না।সিপাহীবাগের একতলা বাসায় পরিবারের পক্ষ থেকে বাদ জোহর কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরিদ্রতা নিত্যসঙ্গী বলে তার বাবার যেমন আক্ষেপ ছিল না তারও নেই বলেই জানান মায়া।৫ ভাই ও৩ বোনের মধ্যে ৩ বোনেরই বিয়ে হয়েছে। বংশালে `মায়া সাইকেল স্টোর` নামে বাবার রেখে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিই চালাচ্ছেন বড় ছেলে সাইদুল ইসলাম চঞ্চল।এইউএ/বিএ/আরএস

Advertisement