খেলাধুলা

প্রতিশোধ নয়, সোনার লক্ষ্যেই মাঠে নামবে ব্রাজিল

জার্মানির বিপক্ষে অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনালে মাঠে নামার আগে বাতাসে একটাই গুঞ্জরণ, প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে রয়েছে ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বেলো হরাইজন্তের স্টাডিও মিনেইরোয় জার্মানির কাছে লজ্জাজনকভাবে ৭-১ গোলে পরাজয়ের প্রতিশোধ অলিম্পিকের ফাইনলে নিতে চায় ব্রাজিল। তবে বাতাসে ভেসে বেড়ানো এই কথাটিকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল কোচ রোজারিও মিকালে।প্রথমবারেরমত অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জয়ের লক্ষ্যে মুখোমুখি হচ্ছে জার্মানি এবং ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আজ রাত আড়াইটায় শুরু হবে সোনা জয়ের এই লড়াইটি।ওই লড়াইয়ের আগে যখন বার উচ্চারিত হচ্ছিল প্রতিশোধের কথাটি, তখন মিকালে জানিয়ে দিলেন তার তরুণ দলটি কোনভাবেই প্রতিশোধ নিতে চায় না। তারা চায় শুধুমাত্র অলিম্পিকের সোনা জিততে এবং সে লক্ষ্যেই মাঠে নামবে তারা। রোজারিও মিকালে বলেন, ‘ওটা ছিল বিশ্বকাপ। আর এটা অলিম্পিক। নেইমার তো ওই ম্যাচে খেলেইনি। সুতরাং, এই ম্যাচে কোন প্রতিশোধের স্পৃহা ফুটবলারদের মনে জাগাটা অস্বাভাবিক। এটা হচ্ছে আসলে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়দের মধ্যে।’ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার ফুটবলার জুনিগার হাঁটুর আঘাতে কোমরের হাঁড় ভেঙে মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। যে কারণে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি তিনি। তবে, স্বর্ণ জয়ের জন্য দর্শকদের ভুমিকাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করলেন মিকালে।সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘দর্শকদের সমর্থণও বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ ক্ষেত্রে। কারণ, জার্মানরা খুবই শক্তিশালী একটি দল। তাদের সমর্থন আমাদের খুবই প্রয়োজন। সমর্থকরা জানে তারা আসলে কী চায়। তাদের এটাও বুঝতে হবে, ওটা ছিল বিশ্বকাপের ম্যাচ আর এটা হলো অলিম্পিকের ম্যাচ। আমার বিশ্বাস, জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালটি হবে একটি গ্রেট ম্যাচ। যেটা আগে কেউ ভাবতেই পারেনি।’ জার্মানির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জার্মান দলটি বেশ ধারাবাহিক। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলাটাই তাদের নীতি। সত্যিকারার্থেই খুবই ভয়ঙ্কর একটি দল। সুতরাং, আমাদের উচিৎ এ বিষয়টার দিকে বেশ নজর দেয়া।’ তবে দুই বছর আগের সেই লজ্জার কথাও ভুলতে চান না তিনি। মিকালে বলেন, ‘আমরা অতীতও ভুলতে চাই না। এবং একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের বিষয়টিও অবগত। আমাদের ফুটবলাররা তাদের অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে সক্ষম একটি ম্যাচের চিত্র বদলে দিতে। এখানকার পরিবেশও অন্যরকম। এ কারণেই হয়তো ইউরোপের অনেক দল লাতিন আমেরিকায় এসে নিজেদের হারিয়ে ফেলে। আমরা এ সুবিধাটাই নিতে চাই।’আইএইচএস/এবিএস

Advertisement