পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারা। সিনিয়র ফুটবলের এমন কোন টুর্নামেন্ট নেই, যেখানে ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন্স কাপ থেকে শুরু করে সব আসরেই; কিন্তু একটাই দুঃখ তাদের, অলিম্পিক ফুটবলে কোন শিরোপা নেই। বার বার চেষ্টা করেও সেই সোনালি অধ্যায়টা রচনা করতে পারেনি ব্রাজিল। এবারও সোনার পদকের একেবারে কাছাকাছি চলে এলো সেলেসাওরা। প্রতিপক্ষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। পারবে কি নেইমাররা। বাংলাদেশ সময় আজ রাত আড়াইটায় মাঠে গড়াবে অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচটি। ব্রাজিলের সামনে ডাবল ইতিহাস গড়ার সুযোগ আজ। একটি তো সোনা জয়ের ইতিহাস গড়ার হাতছানি। অন্যটি প্রতিশোধের। দুই বছর আগে নিজেদের মাটিতেই যেভাবে জার্মানদের কাছে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল সাম্বার দেশটি, তাতে বিশাল ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে ব্রাজিলিয়ানদের মনে। সেই ক্ষত শুকানোর দারুণ একটি সুযোগ নেইমারদের সামনে। জার্মানিকে হারিয়ে অলিম্পিকের সোনা জয়ের মধ্য দিয়েই নেয়া হবে সেই বিশাল লজ্জার প্রতিশোধ।ব্রাজিলের অলিম্পিক কোচ রোজারিও মিকালে কিন্তু আপাতত প্রতিশোধের বিষয়টা দুরে ঠেলে রাখলেন। তিনি বললেন, তরুণ দলটি আসলে প্রতিশোধের নেশায় নয়, অলিম্পিকের সোনা জয়ের জন্যই খেলতে নামবে। মিকালে বলেন, ‘ওটা ছিল বিশ্বকাপ। আর এটা অলিম্পিক। নেইমার তো ওই ম্যাচে খেলেইনি। সুতরাং, এই ম্যাচে কোন প্রতিশোধের স্পৃহা ফুটবলারদের মনে জাগাটা অস্বাভাবিক। এটা হচ্ছে আসলে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়দের মধ্যে।’ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার ফুটবলার জুনিগার হাঁটুর আঘাতে কোমরের হাঁড় ভেঙে মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। যে কারণে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি তিনি। তবে, স্বর্ণ জয়ের জন্য দর্শকদের ভুমিকাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করলেন মিকালে।সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘দর্শকদের সমর্থণও বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ ক্ষেত্রে। কারণ, জার্মানরা খুবই শক্তিশালী একটি দল। তাদের সমর্থন আমাদের খুবই প্রয়োজন। সমর্থকরা জানে তারা আসলে কী চায়। তাদের এটাও বুঝতে হবে, ওটা ছিল বিশ্বকাপের ম্যাচ আর এটা হলো অলিম্পিকের ম্যাচ। আমার বিশ্বাস, জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালটি হবে একটি গ্রেট ম্যাচ। যেটা আগে কেউ ভাবতেই পারেনি।’জার্মানিও মানছে, এই ম্যাচটা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পূনরাবৃত্তি হবে না। কারণ এটা হলো অলিম্পিকের ফাইনাল। আর ওটা ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। দুটোর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কারণ, ওই ম্যাচের খেলোয়াড়দের কেউ নেই এই ম্যাচে। জার্মান কোচ হোস্ট রুবেশ বলেন, ‘এটা অলিম্পিক ফাইনাল ছাড়া আর কিছুই নয়। এখানে ভিন্ন ভিন্ন দল খেলবে। আমরা এখানে এসেছি, আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement