আন্তর্জাতিক

নিয়ম অমান্যের কারণেই মক্কার ক্রেন দুর্ঘটনা

প্রচণ্ড বাতাস এবং বজ্রপাতের কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের মক্কার পবিত্র গ্রান্ড মসজিদের ক্রেন দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দাবি করা হলেও তা নাকচ করে দিয়েছে দেশটির তদন্ত এবং পাবলিক প্রসিকিউশন ব্যুরো (বিআইপি)। বিআইপি বলছে, বিশাল আকারের এ ক্রেন দুর্ঘটনার পেছনে কোনো ক্রিমিনাল মোটিভও ছিল না। জেদ্দার আদালতে দাখিল করা তদন্তের সারসংক্ষেপে সৌদি আরবের এক ধনকুবেরসহ আরো ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় দৈনিক সৌদি গ্যাজেট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, এক হাজার তিনশ টন ওজনের ওই ক্রেন দুর্ঘটনার জন্য প্রবল বাতাস এবং বজ্রপাতকে দায়ী করা হলেও এটি প্রধান কারণ নয়। বিআইপির ধারণা, দুর্ঘটনার সময় ক্রেনের অবস্থান সঠিক ছিল না। ব্ল্যাক বক্স তথ্য বিশ্লেষণের পর প্রকাশিত তথ্যে ক্রেন দুর্ঘটনার আগের দিন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার ছিল বলে জানানো হয়েছে।  সৌদি ব্যুরো বলছে, নির্মাণকাজে নিয়োজিত কোম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী ক্রেনটি স্থাপন করা হয়নি। ক্রেনের প্রধান অংশ ৮৫ ডিগ্রি কোণে হেলানো ছিল, যা সঠিক ছিল না। অব্যবহৃত অবস্থায় ক্রেনের ডান পাশের অংশ নিম্নগামী রাখার বিধান থাকলেও সে সময় তা ছিল না। আবহাওয়া প্রতিকূলের সময়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য। পবিত্র গ্রান্ড মসজিদের ওই ক্রেন দুর্ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১১০ জন নিহত ও ২১০ জন আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া আরো অন্তত আটজন স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়।ক্রেন দুর্ঘটনা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ সৌদি, দুই পাকিস্তানি ও জর্ডান, কানাডা, ফিলিপাইন, ফিলিস্তিন, মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। সূত্র : সৌদি গ্যাজেট, আরব নিউজ।এসআইএস/এবিএস

Advertisement