ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার। স্বাভাবিকভাবেই রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার অনেকটাই শান্ত। ক্রেতাদের তেমন কোনো ভিড় নেই। তাই দোকানিরা দেরিতে খুলছেন দোকান। কিছু কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম কমেছে। কিছু কিছুর দাম অপরিবর্তিত।সূত্রাপুর বাজারের বিক্রেতা মেহবুব হোসেন বলেন, ‘ঈদের কারণে বাজারে ক্রেতা স্বাভাবিকভাবে অনেক কম। তদাই আমি আজ একটু দেরিতে বাজারে এসেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে এখন বেগুন ৬০ টাকা, শশা ৩৫ টাকা, টমেটো লাল-সবুজ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা ১৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৮ টাকা, পেঁপে ২৮ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, চিনি দেশি-বিদেশি ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, মসুরির ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের বিক্রেতা মো. সুজন বলেন, ‘বর্তমানে এ বাজারে আলুর পাল্লা (৫ কেজি) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁয়াজের পাল্লা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো পাল্লা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, শসা পাল্লা ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, পেঁপে পাল্লা ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, বেগুন পাল্লা ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।সূত্রাপুর বাজারে কেনাকাটা করতে আসা দিদার হোসেন বলেন, ‘ঈদের আগের তুলনায় পরের দিন হিসেবে আজ অনেক দ্রব্যের দাম কম মনে হচ্ছে। আবার অনেক পণ্যের দাম একই আছে।এ ছাড়াও, পুরান ঢাকার সুত্রাপুর, ধুপখোলা, শ্যামবাজার, নাজিরাবাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি, ফার্মের মুরগি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি, ফার্মের মুরগির শুধু মাংস ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার মিনিকেট চাল ৪২-৪৬, পারিজা ৩৭-৩৮, নাজিরশাইল ৫২-৫৬, চিনিগুড়া চাল ৮৫, বাসমতি চাল ৬৫, কাটারী ভোগ চাল ৯০, পোলাও চাল ৯২, মুসুর ডাল ১০০, মুগ ডাল ১১০, খেশারী ৪৫-৬০, ছোলা ৫০-৬০, চিনি ৪৩-৪৮, গাজর ৬০-৮০, রসুন দেশী ও বিদেশি ৮০-১০০, আদা ১৮০-২০০, হলুদ ১৫০-১৬০, সয়াবিন তেল ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement