চার দিনের সফরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে তিন সদস্যের ইংল্যান্ডের একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে নয়; অন্য আট-দশটা সফরের মতই এই নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের সফর। সফরের দ্বিতীয় দিন শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসে নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলটি। যদিও এখনকার পরিদর্শন সম্পর্কে কিছু বলেননি তারা। দেশে ফিরে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়ে, নিজেদের মতামত জানাবেন বলে জানান ইসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জন কার।বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে ইসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানকার পরিদর্শন সম্পর্কে, নির্দিষ্ট কোন কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ফিরে যাবো এবং কোন কিছু জানানোর আগে ইসিবিতে আমাদের রিপোর্ট জমা দেব।’সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলার পর শঙ্কায় পড়ে যায় ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর। যদিও ওই শঙ্কার কারণে, নিরাপত্তা দলের এ সফরকে নিয়মিত সফরের অংশ হিসেবেই বলে জানান কার। এছাড়াও সার্বিক সহয়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে(বিসিবি) ধন্যবাদ জানান তিনি।‘যে কোন দেশে ক্রিকেট দলকে সফরে পাঠানোর আগে এটা আমাদের রুটিন সফর। আমরা এখানকার হোটেল ও ক্রিকেট মাঠের সুবিধাগুলো দেখতে তিন দিনের জন্য এসেছি। নিরাপত্তা প্রদানকারীদের সঙ্গেও আলোচনা করছি। ঢাকায় এসেছি, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় হয়ে গেছে। আগামীকাল চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো। আমরা বিসিবি এবং বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তাদের সহযোগিতা ও সাহায্যের জন্য।’চলতি বছরের শুরুতে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট দারুণ সফলভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ। সে সময় সন্ত্রাসী হামলার অজুহাতে বাংলাদেশে আসেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হয়ে ওই সময় বাংলাদেশে দল পাঠায় ইংল্যান্ড।সে বিষয়টাই স্মরণ করলেন ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের সদস্য কার। তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসির ইভেন্ট আয়োজনের কথা জানি। রেগ ডিকসন এর আগেও বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। সাম্প্রতিক সময়ের নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ব্যাপারে আমরা অবগত আছি।’উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে ও দু’টি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের।আরটি/এমআর/পিআর
Advertisement