লাইফস্টাইল

নির্বিঘ্ন ঘুমের জন্য যা খাবেন

নির্বিঘ্ন ঘুমের ঔষধ সেবন করে থাকেন, যা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর। তাই এই সমস্যার সমাধানে প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর উপায় অনুসরণ করা উত্তম। প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে ভালো ঘুমের অধিকারী হতে চাইলে আপনাকে বেছে নিতে হবে ভালো কিছু খাবার। তাই খাদ্যতালিকায় সামান্য কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে পেতে পারেন নির্বিঘ্ন ঘুমের নিশ্চয়তা। চলুন জেনে নেই, নিয়মিত ঘুমের জন্য কোন খাবারগুলো বেছেে নেবেন-কাজুবাদাম : উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কাজুবাদাম পেশিকে শিথিল করে ঘুম নিয়ে আসে চোখে। এছাড়া ঘুমন্ত অবস্থায় রক্তে চিনির মাত্রা স্থিতিশীল রাখার কাজ করে কাজুবাদামে থাকা বিশেষ ধরনের আমিষ, যা দেহে অ্যাড্রিনালিন বা বৃক্করসের মাধ্যমে বিপাকক্রিয়া পর্যন্ত চক্রটি ঘটার সময়ে ঘুম ভাঙতে দেয় না।মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুতে থাকা উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম এবং আমিষের যৌগ পেশি শিথিল করে ঘুমকে গভীর করে। প্রতিদিন নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ঘুম ভালো হবে সবসময়য়।কলা : কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, যা পেশিকে শিথিল করে। ভিটামিন বি৬ দিয়ে পরিপূর্ণ কলা প্রকট অনিদ্রার চিকিৎসার জন্য শরীরে প্রয়োজনীয় মেলাটোনিনের পরিমাণও বাড়িয়ে তোলে। চেরি : সকালে চেরি ফলের শরবত পানেও রাতের ঘুম ভালো হয়, কারণ এতে আছে বিপুল পরিমাণ মেলাটোনিন। এই মেলাটোনিনের কারণে দেহের বিশ্রাম বা ঘুম ও শক্তির চক্রাকার সম্পর্ক নিয়ন্ত্রিত হয়। উষ্ণ দুধ : এক গ্লাস উষ্ণ দুধ দেহের বিবিধ সমস্যার চমৎকার সমাধান। গবেষণায় দেখা গেছে- জইয়ের গুঁড়ো বা ওটমিল, জই, বাদাম, মধু ও সিদ্ধ চাল দিয়ে তৈরি স্ন্যাকজাতীয় খাবার গ্রানোলা কিংবা নিদেনপক্ষে টোস্ট দিয়ে যদি এক গ্লাস হালকা গরম দুধ পান করেন, তবে তা ঘুমের জন্য কার্যকর হবে আর বেশি। এছাড়া এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যালশিয়াম ও অন্যান্য খনিজের কারণেও দেহ শিথিল হয়।আঙ্গুর : আঙ্গুরেও রয়েছে ঘুমের জন্য সহায়ক মেলাটোনিন। তাই আঙ্গুর খেয়েও পেতে পারেন পর্যাপ্ত ঘুম।সিরিয়াল : স্বল্প চিনিযুক্ত ও আঁশ জাতীয় শস্যের তৈরি সিরিয়ালের একবাটি খেলেও তা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক হবে। ভালো ঘুম পাওয়ার জন্য দেহের রক্তপ্রবাহতে ট্রিপ্টোফ্যান নামের উপাদান প্রয়োজন। আর এই উপাদানটি বাড়াতে সাহায্য করে কার্বোহাইড্রেটের যৌগ সমৃদ্ধ খাদ্য, যে গুণটি রয়েছে সিরিয়ালের। ডার্ক চকোলেট : দুধের তৈরি চকোলেটের বদলে খানিকটা ডার্ক চকোলেট ভালো ঘুমের জন্য দারুণ সহায়ক। ডার্ক চকোলেটে থাকা সেরোটোনিন নামের উপাদানটি দেহকে শিথিল এবং মনকে প্রশান্ত করে।মধু : মস্তিষ্ককে সতর্ক রাখার কাজ যে রাসায়নিকটি করে থাকে, তার নাম ওরেক্সিন। এই ওরেক্সিন উৎপন্নও হয় মস্তিষ্ক থেকেই। মধুতে থাকা গ্লুকোজ মস্তিষ্কের ওরেক্সিন উৎপাদনের কাজ ব্যাহত করে। তাই ভালো ঘুমের জন্য মধু খেলেও তা অবশ্যই বেশি পরিমাণে হওয়া চলবে না, কেবল এক টেবিল চামচেই কাজ হয়ে যাবে!এইচএন/আরআইপি

Advertisement