প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে লাইবেরিয়ার সরকার। কিছু কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকেও পৃথক থাকার কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন শিরলেফ।যে সকল সরকারি কর্মীরা জরুরি কাজে নিয়োজিত নন তাদের ২০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সকলে নির্দেশ মেনে চলছে কিনা, তা তদারকিতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।১ আগস্ট লাইবেরিয়ায় ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট শিরলেফ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রধানরা জরুরি কাজে নিয়োজিত নন এমন কর্মীদের শনাক্ত করে ৩০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাবেন বলেও জানান শিরলেফ।লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়াতে এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে কূল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার বিবিসি প্রতিনিধি থমাস ফেসি।হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড এরই মধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। অনেক রোগীকেই তাদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে এবোলা ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে ৬৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।এদিকে এবোলা ভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়াতে থাকায় পশ্চিম আফ্রিকার লাইবেরিয়া, সিয়েরালিওন ও গিনি থেকে ৩৪০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংগঠন পিস ক্রপস।এবোলা ভাইরাস সংক্রমিত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যান। তবে সংক্রমিত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা পেলে রোগীদের সেরে ওঠার সুযোগ থাকে।মানুষের শরীর থেকে নিঃসরিত বিভিন্ন ধরনের তরলের (থুথু, ঘাম, রক্ত, চোখের পানি ইত্যাদি) মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়।গত ফেব্রুয়ারিতে গিনিতে প্রথম এবোলা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর ভাইরাসটি লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিওনে ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র: বিবিসি
Advertisement