দেশজুড়ে

গাজীপুর সিটি মেয়র মান্নান আবারো গ্রেফতার

মুক্তি মিলছে না গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের। বুধবার তাকে জয়দেবপুর থানায় ২০১৫ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি পুরাতন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ২২টি মামলায় ১৩ মাস কারাভোগের পর গত ২ মার্চ অধ্যাপক এমএ মান্নান জামিনে মুক্ত হন। এরপর গত ১৫ এপ্রিল রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় একটি বাসে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকা থেকে অধ্যাপক এমএ মান্নান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন তাদের গাজীপুরের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই দিন টঙ্গী ও কালিয়াকৈরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় মান্নানকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। এ তিনটি মামলায়ও অধ্যাপক এমএ মান্নান উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। পরে ২৩ জুন দুদক অধ্যাপক এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করেন। বুধবার এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভের পর বুধবারই তাকে একটি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।বর্তমানে অধ্যাপক এমএ মান্নান গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ রয়েছেন। সদ্য ঘোষিত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হয়েছেন।উল্লেখ্য, গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা হামলার মামলায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়র মান্নান ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন। ইতোমধ্যে দুইটি মামলায় তার নামে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। গত বছর আগস্ট মাসে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ২ মার্চ কারামুক্তির পর গত ৩১ মার্চ এ সাময়িক বহিষ্কারাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এমএ মান্নান। মেয়র মান্নানকে দেওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ গত ১১ এপ্রিল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে ১৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন। তিনি আদালতের নির্দেশে মেয়র পদ ফিরে পেলেও গত এপ্রিল মাসে আবার তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বছর ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমিনুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি

Advertisement