বহরে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ যোগ করে চলতি বছরের শেষে আকাশ পরিবহনে ফিরে আসছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বেসরকারি খাতের দেশীয় এই বিমান সংস্থাটি। বহরে নতুন উড়োজাহাজ সংযোজন ও পুরনো উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মূলধন বাড়াতে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মোট ৬২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা সংগ্রহ করছে ইউনাইটেড এয়ার। এজন্য বিনিয়োগকারীদের নামে কোম্পানির নতুন শেয়ার ইস্যুর পাশাপাশি তাদের কাছে বন্ডও বিক্রি করা হবে। ডিসেম্বর নাগাদ ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তারা। কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উড়োজাহাজ সংগ্রহের কাজ চলছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উড্ডয়ন উপযোগী উড়োজাহাজের সংকট ও বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে দেন-দরবারের কারণে বর্তমানে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে একবার ফ্লাইট চালু করলেও দ্রুত তা বন্ধ হয়ে যায়। ফ্লাইট চালুর লক্ষ্যে কোম্পানিটি গত বছরই নতুন করে মূলধন সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে। চলতি বছর এ চেষ্টায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।মুলধন সংগ্রহে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে, সুইফট কার্গো পিটিই, ফিনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং পিটিই ও টিএসি এভিয়েশন নামের বিদেশি কোম্পানিগুলোর নামে ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করবে ইউনাইটেড এয়ার। এর মধ্যে সুইফট কার্গো পিটিইর শেয়ার তিন বছর লকড-ইন থাকবে। আর ফিনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং পিটিই ও টিএসি এভিয়েশনের ক্ষেত্রে এক বছর লকড-ইন থাকবে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি কুপন বন্ড ছেড়ে আরো ২২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে সাড়ে ১২ শতাংশ সুদে এই বন্ড ইস্যু করা হবে। এ অর্থে কোম্পানিটি উড়োজাহাজ ক্রয়ের ডাউন পেমেন্ট, ঋণ পরিশোধ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে দেনা ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করার ঘোষণা দেয়।উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে যথেষ্ট শেয়ার না থাকায় রাইট, আরপিও কোনো উপায়েই শেয়ারবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে পারছিল না ইউনাইটেড এয়ার। পরে বিকল্প পথে মূলধন উত্তোলনের এ পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।সর্বশেষ অবস্থা জানতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান ও এমডি ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, নতুন মূলধনের উল্লেখযোগ্য অংশই আসবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। অর্থসংস্থানে আমরা আইসিবির সহায়তা পাচ্ছি। চলতি বছরই ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা সব দিক থেকেই এগোচ্ছি । আশা করছি ডিসেম্বরের আগেই ইউনাইটেড এয়ার ডানা মেলবে।উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৬৮৭ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আরএম/এমএমজেড/পিআর
Advertisement