উপমহাদেশের মাটি থেকে সিরিজ জয় করা যে কত কঠিন কাজ, সেটা ভালো করেই জানে এই অঞ্চলের বাইরের ক্রিকেট পরাশক্তিগুলো। বাইরের ক্রিকেট পরাশক্তি বলতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমনকি সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে উত্তর শ্রীলংকার ভাঙা হাটও যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, সেটা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেলো অস্ট্রেলিয়া। সহজে সিরিজ জিতে নেয়ার পরিকল্পনা করে এসে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হলো হোয়াইটওয়াশ।সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টেস্টে সাম্রাজ্যও হারিয়েছে অসিরা। ভারত উঠে গেছে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। আর অস্ট্রেলিয়া চলে গেলো এক লাফে তিন নম্বরে। সবচেয়ে বড় কথা, উপমহাদেশের মাটি যেন অস্ট্রেলিয়ার জন্য এক গভীর ধাঁধা হয়েই থাকলো।২০১৩ সালের পর গত তিন বছরে টানা তিনটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। মাইকেল ক্লার্কের হাত ধরে শুরু। তিন সিরিজে মোট ৯টি টেস্টের সবগুলোতেই পরাজয়। ২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতের মাটিতে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসে সবগুলোতেই হেরেছে মাইকেল ক্লার্কের দল।এরপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে এসে আরব আমিরাতের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে অসিরা। ওই সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হলো টেস্ট ক্রিকেটের অবিসংবাধিত এই শক্তিকে। এরপর সর্বশেষ এবার তারা এলো শ্রীলংকা। যে দলটির কাছে পুরো ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র ১টি ম্যাচ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাও ১৭ বছর আগে, ১৯৯৯ সালে। এরপর জয়সুরিয়া, ডি সিলভা, চামিন্দা ভাস, মুরালিধরন, সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনেদের নিয়েও নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি লংকানরা। এবার তো তারকা বলতে একেবারেই কেউ নেই। তবুও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের তুখোড় নেতৃত্ব আর কয়েকজন উদীয়মান ব্যাটসম্যান আর রঙ্গনা হেরাথের একক বোলিং নৈপুন্যে অস্ট্রেলিয়াকে লজ্জায় ডুবিয়ে ছাড়লো শ্রীলংকা।শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালের পর এখনও পর্যন্ত উপমহাদেশের মাটিতে মোট ১৩টি টেস্ট হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। আইএইচএস/পিআর
Advertisement