আন্তর্জাতিক

তুরস্কে মুক্তি পাচ্ছে ৩৮ হাজার কারাবন্দি

গত মাসের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের আগে আটক ৩৮ হাজার বন্দিকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিচ্ছে তুরস্ক। কারাগারে নতুন বন্দিদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।জুলাই মাসে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার মানুষকে গ্রেফতার অথবা আটক করা হয়েছে। তুরস্কের বিচারমন্ত্রী বলেছেন, বন্দিদের মধ্যে যারা সাজার অর্ধেক খেটেছেন তাদের দুই-তৃতীয়াংশকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে খুন এবং ধর্ষণের মত অপরাধে দণ্ডিতরা এই সুযোগ পাবেন না। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন একে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর ২০০২ সাল থেকে দেশটির কারাগারে বন্দির সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। গত মার্চে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরই দেশটির ৩৬৪ কারাগারে যোগ হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার বন্দি। এনবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে, ভিন্নমত দমনে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কঠোর পদক্ষেপে তুরস্কের পশ্চিমা মিত্ররা উদ্বিগ্ন। ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে পশ্চিমাদের হুমকিও পাত্তা দেয়নি তুরস্ক। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, তারা দেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সমূলে উৎপাটন করছেন। বুধবার তুরস্ক সরকারি এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে নতুন করে আরো ২ হাজার ৩৬০ পুলিশ কর্মকর্তা, শতাধিক সামরিক কর্মকর্তা ও ১৯৬ কর্মীকে বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়েছে। তুরস্ক সরকার বলছে, ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের মূল হোতা যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে এসব কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। তবে গুলেন সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করে আসছেন। উল্লেখ্য, তুরস্কে গত ১৫ জুলাই রাতে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অভ্যুত্থানে বেসামরিক নাগরিকসহ তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপর থেকে হাজার হাজার সেনা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক ও বরখাস্ত করা হয়েছে। এসআইএস/পিআর

Advertisement