২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। সঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি আরো জানান, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। সরকার দেশের অবশিষ্ট জনগণকে দ্রুত বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার জন্য ২০১০ সালে প্রণীত পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।২০২১ সালের মধ্যে সকল নাগরিকের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে মিটার প্রদানে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে এবং তা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।সরকারি দলের সদস্য মাহফুজুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ১১ হাজার ২৬৫ মেগাওয়াট। তবে শীতকালীন বিদ্যুৎ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এখন প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার ২শ’ থেকে ৬ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। গত ২০১৪ সালের ১৮ জুলাইয়ে সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ৭ হাজার ৪১৮ মেগাওয়াট।সরকারি দলের সদস্য দিলারা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বাৎসরিক মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৩৪৮ কিলোওয়াট/ ঘণ্টা। এ যাবত দেশের অফ-গ্রীড এলাকায় ৩৫ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ জনগণের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।আরএস
Advertisement