বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক সুখস্মৃতির সাক্ষী মোহাম্মদ আশরাফুল। ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর নায়ক তিনি। ওই ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরিও। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে পরাজিত করে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে দলকে জয় পাইয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। ওই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলেছিলেন। ক্রিকেট বিশ্বে সর্বকনিষ্ট টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুল।২০১৩ সালে বিপিএলে ম্যাচ গড়াপেটায় অংশ নিয়ে কলঙ্কের তিলক কপালে তোলেন আশরাফুল। আপাতত সেই কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি! তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিপিএল ও জাতীয় দল ছাড়া অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আইসিসির অনুমতি পেয়েছেন তিনি। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের নতুন করে আবার ক্যারিয়ার শুরু! ক্রিকেটে ফিরতে পেরে ভীষণ খুশি তিনি।এদিকে, ২০১৩ সালেই ফিক্সিংয়ে জড়ানোর বিষয়টি মিডিয়ার সামনে স্বীকার করেছিলেন আশরাফুল। এতে চমকে গিয়েছিল ক্রিকেট দুনিয়া। নিজের ভুল এমনভাবে অকপটে স্বীকার করার ঘটনা সত্যিই বিরল, যা করে দেখিয়েছিলেন আশরাফুল। কেন? কারো সঙ্গে প্রতারণা নয়। নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত তিনি। জানালেন, কারো মনে কষ্ট না দেয়ার জন্যই নাকি ওটা করেছিলেন আশরাফুল।সতীর্থরা এখনও আশরাফুলকে পেতে চান। তামিম ইকবালই যেমন কিছুদিন আগে বলেছিলেন, আমরা আশরাফুলের প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় আছি। শুধু তামিম নন, দলের অনেকেই এমন অপেক্ষার প্রহর গুনেছেন। তারা ফিরে পেয়েছেন প্রিয় আশরাফুলকে। তবে জাতীয় দলে এখনই নয়, দেশের জার্সিতে ফিরতে তার লাগবে আরো দুই বছর।আশরাফুলের ফেরা নিয়েও দলে অনেক কথা হবে। সেটা অনুমান করছেন সাবেক অধিনায়কও। বলেন, ‘আমি সম্প্রতি তামিমের সাক্ষাৎকার দেখেছি, সেখানে সে বলেছিল তারা আমার প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। আমার খুব একটা সমস্যা নেই। আমি যা করেছি তা সব স্বীকার করেছি। অন্যদিকে আমি কোনো ক্রিকেটারের মনে কষ্ট দেই নি। যখন আমি ক্রিজে যেতাম, তখন টুকটাক কথা হতো এজন্য যে প্রতিপক্ষ আমাকে দ্রুত আউট করতে চায়।’এনইউ/এবিএস
Advertisement