যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গুলিতে ইমামসহ নিহত দুই বাংলাদেশির সন্দেহভাজন ঘাতকের ছবি প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ। রোববার স্থানীয় সময় রোববার সকালের দিকে ওই হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে, শনিবার দুপুর ২টায় জোহরের নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে নিউ ইয়র্কের আল-ফুরকান জামে মসিজদের ইমাম আলাউদ্দিন আকনজি (৫৫) ও থারা উদ্দিন নামে আরেক বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত। এ দুই বাংলাদেশিকে কেন হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ জানিয়েছে, ইমামসহ দুই বাংলাদেশির খুনি মাঝ বয়সী। সর্বশেষ তাকে কালো টি শার্ট ও নীল রঙের হাফ প্যান্ট পরতে দেখা গেছে। কালো চুল ও দাড়ি-গোঁফসহ চশমা পরিহিত এক সন্দেহভাজনের ছবি রোববার সকালের দিকে প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। কর্তৃপক্ষ বলছে, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার আগে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর হামলাকারী ওই দুই বাংলাদেশির পিছু নেয়। পুলিশ বলছে, ভিডিওতে দেখা যায়, ওই দুজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর হামলাকারী বন্দুক হাতে ৭৯ স্ট্রিটের দক্ষিণের দিকে পালিয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো কারণ সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে হামলার শিকার হয়ে থাকতে পারেন সেবিষয়েও তথ্য পায়নি পুলিশ। তবে এ ঘটনার পর আতঙ্কিত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা বলছেন, ঘৃণা থেকে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়ে থাকতে পারে। এদিকে, দুই বাংলাদেশিকে হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার রাতেই ঘাতকের গ্রেফতারের দাবিতে সমাবেশ করেছে শতাধিক বাংলাদেশি। অসহিষ্ণুতা ছড়াতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। হত্যাকাণ্ডের পর নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের উপ-পরিদর্শক হেনরি সটনার বার্তাসংস্থা এপিকে বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তারা হামলার শিকার হননি। প্রাথমিক তদন্তে এ বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি। বাংলাদেশি ওই ইমামের কন্যা নাইমা আকনজি ইউএসএ নিউজকে বলেন, তার বাবা একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন। কারো সঙ্গে তার সমস্যা ছিল না। এসআইএস/পিআর
Advertisement