খেলাধুলা

কোচ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইলে খেলবেন আশরাফুল

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) সেরা পারফরমারদের নিয়ে তৈরি হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ বিসিএল। তাই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া লিগ খেলার অনুমতি পেলেও শঙ্কায় পড়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের বিসিএলে খেলা। আইসিসির সবুজ সংকেতের পাশাপাশি বিষয়টি নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাতুরুসিংহে ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের ওপর। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে আকরাম বলেন, ‘আশরাফুল এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি, মানে বিপিএল যেটা, এটা সে ১৮-এর (২০১৮) পর খেলতে পারবে। দেশের বাইরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচও ২০১৮-এর পর খেলতে পারবে। আর বিসিএলে এনসিএলের সেরা পারফর্মাররা খেলে থাকে। সে হিসেবে আশরাফুলের বিসিএল খেলা ফ্রেঞ্চাইজি এবং নির্বাচকদের উপর নির্ভর করে।’আগামী অক্টোবরে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। তাই দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচ থেকে প্রায় দেড় বছর বাইরে থাকায় বিসিএলে জাতীয় দলের এবং এ দলে জায়গা পাবার সম্ভবনাময় খেলোয়াড়দের চেখে নেওয়ার পক্ষে হাতুরু। যেহেতু আশরাফুল জাতীয় দলের ২০১৮ এর আগে বিবেচনায় থাকতে পারছেন না তাই তার খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা চাইলে তাকে মাঠে দেখা যেতেও পারে। তবে একই সঙ্গে তার ফিটনেসও চেখে দেখবেন তারা।‘আশরাফুলের ব্যাপারটা নির্ভর করছে কোচ এবং ফ্রেঞ্চাইজিদের উপর। একটা কথা আগেও বললাম যে এনসিএলের সেরা পারফর্মাররা বিসিএল খেলবে। আর আশরাফুলের ব্যাপারটা হলো, সে খেলার মধ্যে ছিলো না। এ ছাড়া ফিটনেসেরও ব্যাপার আছে।’উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ গড়াপেটা করায় পাঁচ বছরের জন্য তবে শর্তসাপেক্ষে তিন বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন আশরাফুল।আরটি/এনইউ/এবিএস

Advertisement