ভারতে বাংলাদেশ মিশনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদৎবরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তাদের রুহের শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এখানকার বাংলাদেশ হাইকমিশন, কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশন এবং আগরতলার এসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী এ দিন সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে ১৫ আগস্টে শাহাদৎবরণকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। এ দিন বিকেল ৩টায় হাইকমিশনে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার অয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে আমাদের’ হ্রদয়ে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনের গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৭টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, ১৫ আগস্টে শাহাদৎবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতির জনকের কর্মময় জীবনের ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগরতলার অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনেও অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৭টা ১১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর এক আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল। একে/এমএস
Advertisement