ধর্ম

বাইতুল্লাহ তাওয়াফের ফজিলত বর্ণনায় বিশ্বনবি

তাওয়াফ আরবি শব্দ। যার অর্থ চক্কর দেয়া বা প্রদক্ষিণ করা। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহর ঘর কা’বার চার পার্শ্বে চক্কর দেয়া বা প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলে। তাওয়াফ হজের তিনটি ফরজ কাজের একটি। এ কাজটি হলো তাওয়াফে জিয়ারাত। অর্থাৎ আরাফাহ, মুজদালিফা ও মিনা থেকে হজের বিভিন্ন হুকুম পালন শেষে ১০ই জিলহজ ভোরে বেলা থেকে ১২ই জিলহজ পর্যন্ত যে কোনো দিন পবিত্র বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা। এই তাওয়াফ ব্যতিত হজ হবে না।যদিও হজের কার্যাদির মধ্যে ওকুফে আরাফা বা আরাফায় অবস্থান করা হলো হজের প্রধান কাজ। কিন্ত আরাফার মায়দানে অবস্থান হলো একদিন। তাই হজ ও ওমরায় সব থেকে বেশি যে কাজটি করা হয়ে থাকে, তা-ই হচ্ছে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ। তাওয়াফের রয়েছে অনেক ফজিলত। হাদিসে এসেছে-হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি; কেউ যদি যথাযথভাবে সাতবার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে তবে সে একটি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে। তাওয়াফের প্রতিটি কদমে আল্লাহ তাআলা তার জন্য ১০টি নেকি লিখবেন, ১০টি গোনাহ ক্ষমা করবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, বাইহাকি, মুসতাদরেকে হামিক, মিশকাত)অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে আবদে মান্নাফের বংশধর! এ বাইতুল্লায় তাওয়াফ এবং নামাজ আদায়ে কাউকে বাঁধা দিবে না; চাই দিনে বা রাতে যে কোনো সময়ই ইচ্ছা করুক না কেন। (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন বাইতুল্লাহর ওপর ১২০টি (একশত বিশ) রহমত নাজিল করেন, তন্মধ্যে ৬০টি (ষাট) কেবল তাওয়াফকারীদের জন্য; ৪০টি (চল্লিশ) সেখানে নামাজ আদায়কারীদের জন্য; এবং অবশিষ্ট ২০টি (বিশ)ঐ সব লোকের ওপর যারা বাইতুল্লা ‘র দিকে তাকিয়ে থাকে।পরিশেষে...হজে গমনকারী মুসলিম উম্মাহর উচিত বিশ্বনবির ঘোষিত পুরস্কার, সাওয়াব ও মর্যাদা লাভের পাশাপাশি গোনাহ থেকে নিস্কৃতি লাভে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা। আল্লাহ তাআলা সমগ্র উম্মাহকে যথাযথ আদবের সঙ্গে বাইতুল্লায় তাওয়াফ, নামাজ আদায় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement