নেইমার দ্য সিলভা যেখানে, সেখানেই ভক্তদের ভিড়। নেইমারের পাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখে ব্রাজিল। সেলেকাওদের ধারণা, পারলে তিনিই পারবেন। নেইমার না পারলে কারও পক্ষেই ব্রাজিলকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।ব্রাজিল বিশ্বকাপে নেইমার ছিলেন দেশবাসীর অকূলের কূল, অগতির গতি। তিনি ছিলেন না বলেই জার্মানির কাছে সাতটি গোল হজম করতে হয় সেলেসাওদের। নিন্দুকেরা অবশ্য তা মনে করেন না। তাদের বক্তব্য, নেইমার থাকলেও সেদিন একই ফলাফল হতো। যাই হোক, ব্রাজিল বিশ্বকাপ এখন অতীত।রিওতে বসে গেছে অলিম্পিকের আসর। পেলের দেশ বিশ্বকাপ ফুটবল জিতে নিলেও একবারের জন্যও অলিম্পিক থেকে সোনা জিততে পারেনি ব্রাজিল। আর এটাই বিস্ময়ের ব্যাপার। এবার কি ব্রাজিল সোনা জিতে নেবে ফুটবলে? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে সবাই তাকিয়ে আছেন একজনের দিকেই। তিনি আর কেউ নন। নেইমার দ্য সিলভা।তারকা ফুটবলারদের সম্পর্কে একটা অপবাদ প্রচলিত, তারা দেশের জার্সিতে উজ্জ্বল হন না। লিওনেল মেসি সম্পর্কে এই অভিযোগ প্রচলিত রয়েছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সম্পর্কেও তাই। নেইমার সম্পর্কেও কথিত রয়েছে, তিনি দেশের থেকে ক্লাবের জার্সিতেই বেশি উজ্জ্বল।ব্রাজিলের জার্সিতে সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের পাশে দারুণ মানিয়ে নিয়েছেন ব্রাজিল তারকা। আর এই ত্রয়ী যেকোনো ক্লাবের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারেন।ব্রাজিলের জার্সিতে নেইমার অবশ্য সেই সমর্থন পান না। তার পাশে মেসি-সুয়ারেজের মতো প্রতিভাবান ফুটবলারও নেই। ব্রাজিলে তিনি একা। নিজের দিনে বিপক্ষের ডিফেন্স নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন নেইমার। এবারের অলিম্পিক বসেছে নেইমারের দেশেই।এবারের অলিম্পিকে তারকা হয়ে উঠতেই পারেন নেইমার। আর সবাই জানেন তিনি ছন্দ পেয়ে গেলে ব্রাজিলেও জ্বলে উঠবে। ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ জিততে পারেননি নেইমার। অলিম্পিকে ব্রাজিলকে সোনা দেয়ার জন্য তিনি ঝাঁপিয়ে পড়বেন। এ কথা তো বলাইবাহুল্য।আইএইচএস/বিএ
Advertisement