বন্ধ ঘোষিত দশ কোম্পানীর ওষুধ এখনও বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। সস্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন দেশের ২০টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার ওষুধ উৎপাদন বন্ধ, ১৩টির লাইসেন্স বাতিল ও ১৬টি কারখানা সিলগালা করার নির্দেশ দেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রূহুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, ওই নির্দেশের পর তাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাজার ঘুরে ১০টি কোম্পানীর ওষুধ এখনও বিক্রি হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন। কোম্পানীগুলো হলো হলো: মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি., ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লি., এভার্ট ফার্মা লি., ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি., আদ্ব-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি., ক্যাফমা ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি., নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস্ লি., ন্যাশনাল ড্রাগ কোম্পানী লি. ও টুডে ফার্মা। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই এসব কোম্পানিকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এরমধ্যে পাঁচটি কোম্পানী নোটিশের জবাবও দিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ইতোমধ্যেই ৫টি কোম্পানি কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব প্রদান করেছে। তারা বলছে, বর্তমানে বাজারে যে সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা আসার আগে উৎপাদন করা হয়। এখন তাহলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো ওষুধ কবে (আগে নাকি পরে) উৎপাদন করলো, তার চেয়ে আদালতের নির্দেশ পালন করা অধিক বিবেচ্য। তিনি জানান, খুব শিগগিরই তারা কোম্পানিগুলোকে সাতদিন সময় দিয়ে বাজার থেকে সব ধরনের ওষুধ প্রত্যাহারের চিঠি দিবেন। বেঁধে দেয়া এক সপ্তাহের মধ্যে ওষুধ প্রত্যাহার না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।এমইউ/এমএমজেড/এবিএস
Advertisement