লাইফস্টাইল

চার দেয়ালের কাব্য

অন্দরসজ্জাটা এখন অনেকটাই চার দেয়ালের কাব্য হয়ে উঠেছে। সাদামাটা রঙের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে একটা সময় শুরু হয় ঘরের দেয়াল নানা রঙে রাঙানোর চল। এরপর এল ওয়ালপেপার। এখন দেয়ালের রং আর উপাদানে এসেছে নানা বৈচিত্র্য।ভেতরবাড়ির দেয়ালসজ্জা আজকাল শুধু বাহারি রং কিংবা নকশার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছাড়িয়ে গেছে এর ব্যবহারের মাত্রা। অন্দরের দেয়ালসজ্জার উপকরণগুলোর মধ্যে স্যান্ড স্টোন, লাইম স্টোন, মার্বেল, গ্রানাইট কিংবা কর্নমিক্সের ব্যবহার চোখে পড়ার মতোই। যেহেতু সাধ্যের মধ্যে অন্দরের দেয়ালসজ্জার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো মিলছে, তাই এসবের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আজকাল বেশ শৌখিনতা লক্ষ্য করা যায়।দেয়ালসজ্জার মধ্যে প্রথমেই আসে ডেকোরেটিভ ওয়াল কিংবা দেয়াল অলংকরণের ব্যাপারটি। বসার ঘরে, শোবার ঘরে কিংবা অন্দরের প্রবেশপথেই ব্যবহার করতে পারেন ডেকোরেটিভ ওয়াল। রুচি ও পছন্দমতো রঙের সঙ্গে নানা রকম পাথর, মার্বেল, কাঠ ও আলো ব্যবহার করে অলংকৃত করতে পারেন সে সব দেয়াল। পারিবারিক ছবি, খুব পছন্দের কোনো শোপিস কিংবা বিখ্যাত কোনো ছবি আপনি সাজিয়ে রাখতে পারেন সে সব দেয়ালে।আজকাল দেয়ালজুড়ে কাঠের তৈরি সুন্দর তাক কিংবা স্ট্যাক ব্যবহার লক্ষণীয়। এতে অন্দরে বাড়তি জায়গা সংকুলানের পাশাপাশি ফুটে ওঠে আভিজাত্যের ছোঁয়া। বসারঘরের দেয়ালে আটকানো এলসিডি টিভির ব্যবহার বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। আপনি চাইলে সেই সব দেয়ালেও দিতে পারেন ভিন্ন মাত্রা। নানা রকম টেক্সচারের সঙ্গে রং ও নকশার মাধ্যমে দেয়াল সাজালে তা বসার ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ।খাবারঘরেও আপনি আপনার পছন্দমতো যে কোনো ধরনের দেয়াল ব্যবহার করতে পারেন। এসব দেয়াল সাজসজ্জার পাশাপাশি তৈজসপত্র রাখার প্রয়োজনীয় সুবিধার কথা ভেবেও তৈরি করা হয়ে থাকে।শোয়ারঘর কিংবা নিজের একান্ত পড়ার ঘরেও আপনি আপনার সুবিধা ও প্রয়োজনমতো ডেকোরেটিভ ওয়াল ব্যবহারের দিকে মন দিতে পারেন। অফিসের ফাইল, দরকারি বইপত্র, অবসরে শোনেন এমন গানের সিডি, ডিভিডি কিংবা শখের কালেকশনের জন্যও বিশেষভাবে তৈরি করে নিতে পারেন ইন্টেরিয়র ওয়াল।সময়ের সঙ্গে দ্রুত বদলে গেলেও নিজের সংস্কৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা থেকেই যায়। আর তাই তো এখনো পোড়ামাটির তৈরি টেরাকোটার দেয়াল ব্যবহার সৌন্দর্য চেতনা ছড়িয়ে দেয় অন্দরময়। দেয়ালের সামনে কেমন আসবাব রাখবেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। বড় আসবাবে দেয়ালটাই যেন ঢেকে না যায়। আবার আলোর ব্যবহারটাও হওয়া চাই মানানসই। আলো-ছায়ার খেলায় দেয়ালের টেক্সচার হয়ে উঠতে পারে আরো আকর্ষণীয়।কোথায় পাবেনঢাকার হাতিরপুল ও এলিফ্যান্ট রোডে রয়েছে এসব উপকরণের বিশাল সব শোরুম। এ ছাড়া ঢাকার গ্রিন রোডে গ্রিন সুপার মার্কেটেও যেতে পারেন যে কেউ। টেরাকোটার জন্য মণিপুরীপাড়ায় বেশ কিছু দোকান রয়েছে। তবে শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেট কিংবা নিজের ইচ্ছামতো বানিয়ে নিতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটেও খোঁজ নিতে পারেন।

Advertisement