চলতি বছর ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৯১ হাজার ৭৫৮ জন।প্রতিবছরই পবিত্র হজব্রত পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে গমনের আগে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা জড়ো হন রাজধানীর আশকোনায় অবস্থিত হজক্যাম্পে।এখানে কয়েকদিন অবস্থান করে তারা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম, বিমানের টিকিট, বোর্ডিং কার্ড গ্রহণ এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকেন।এ বছর হজযাত্রীদের জন্য হজ ক্যাম্পের নানা ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হজযাত্রীরা। চট্টগ্রাম থেকে স্ত্রী, শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে হজ ক্যাম্পে এসেছেন শাহীন আহমেদ চৌধুরী। এ বছর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে হজে যাচ্ছেন তিনি। শাহীন আহমেদ চৌধুরীর স্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় হাজীদের কাছে শুনেছি হজে যাওয়ার সময় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু এ বছর আমরা খুব স্বাচ্ছ্যন্দে সব কিছু করতে পারছি। এখানে সব কাজে স্কাউট সদস্য বা স্বেচ্ছাসেবীরা নানাভাবে আমাদের সাহায্য করছে। হজে যাওয়ার নানা পদক্ষেপে এখন পর্যন্ত আমদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।এদিকে হজক্যাম্পে অনুমতি ব্যতীত কোনো দর্শনার্থী বা আত্মীয়-স্বজনদের প্রবেশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডরমেটরির ফটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশিক্ষিত স্কাউট টিমের সদস্যরা থাকছেন সবসময়। হজযাত্রীদের খাবার নিশ্চিত করতে ক্যাম্পের ভেতর বেশ কয়েকটি ক্যান্টিনও বসানো হয়েছে।হজে যেতে রংপুর থেকে হজক্যাম্পে এসেছিলেৎন আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এখানে দায়িত্বে থাকা রোভার স্কাউট সদস্যরা আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। এখানে ব্যাংকের বুথ আছে, আছে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রও। যে কোনো কাজে এসবে গেলে তারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। সব মিলিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি খুব সন্তোষজনক।হাজিদের ই-হজ্জ সুবিধার মাধ্যেমে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে হাজিরা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন তা সহজেই অত্মীয়-স্বজনরা জানতে পারবেন এ বছর।হজযাত্রীদের জন্য হজক্যাম্পে ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়ার জন্য ১৪টি ব্যাংক তাদের বুথ বসিয়েছে। যাতে করে হজযাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সুবিধা এখান থেকেই পেতে পারেন।হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ব্যবস্থাপনায় ক্যাম্পে স্থাপন করা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এখানে মূলত হজযাত্রীদের হেলথ চেকআপ, টিকাদান এবং সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। হজযাত্রীদের সুবিধার্থে সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছে টিম। এবারে প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক দুটি ব্যাগে ৪৬ কেজি মালামাল, বিজনেস ক্লাসের জন্য সর্বাধিক দুটি ব্যাগে ৫৬ কেজি এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারছেন। কোনো অবস্থাতেই প্রতি ব্যাগের ওজন ২৩ কেজি এবং বিজনেস ক্লাসে ২৮ কেজির বেশি হবে না। প্রত্যেক হজযাত্রী পাঁচ লিটার জমজমের পানি আনতে পারবেন। তবে নারী হাজিরা ঢাকা আসার পর তা তাদের দেয়া হবে।এদিকে হজক্যাম্পে হজযাত্রীদের সচেতন করার লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সৌজন্যে স্থাপন করা হয়েছে বড় মনিটর। যেখানে হজযাত্রীদের করণীয় সম্পর্কে সচেতনতামূলক ভিডিও দেখানো হচ্ছে। এএস/একে/এমএস
Advertisement