খেলতে চান। এখনো স্বপ্ন দেখেন, দেশের হয়ে সাদা পোশাকে মাঠে নামার। একটা টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম বলটি করতে উন্মুখ মাশরাফি; কিন্তু মানুষের সব আশা তো আর পূর্ণ হয় না। কিছু স্বপ্ন ও প্রত্যাশা অপূর্ণই থেকে যায়। মাশরাফিরও তাই। টেস্ট খেলতে মন চায়; কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। টেস্ট খেলার জন্য অনেক বেশি শারীরিক সক্ষমতা দরকার। তার তা নেই, তা বলা যাবে না। তবে দীর্ঘ পরিসরের খেলায় ঝক্কি অনেক বেশি। ৪/৫ দিন মাঠে থাকা, অন্তত দুই দিনের বেষি ফিল্ডিং করা, সারা দিনে কয়েক স্পেলে ১৫/১৭ ওভার বোলিং- মাশরাফির জন্য কঠিন। তাতে চাপ পড়বে অনেক বেশি। পুরনো ইনজুুরি মাথা চাড়া দেয়ার শঙ্কাও প্রচুর। মুলতঃ সে কারণেই মনের ইচ্ছেকে মনেই লালন করা। মুখে বলেন না। বলতে চান না। জাগো নিউজের সাথে একান্ত আলাপে তার সুপ্ত ইচ্ছেটাই প্রকাশ পেয়ে গেলো আজ। মাশরাফি সোজা সাপটা বলেই ফেললেন, ‘কার না মন চায় টেস্ট খেলতে বলুন? সেটাই তো আসল ক্রিকেট। আমিও চাই। আমারও ইচ্ছে হয়। স্বপ্ন দেখি। সাধ জাগে; কিন্তু তার জন্য অন্যরকম শারীরিক প্রস্তুতি দরকার। একটা দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাপার-স্যাপার। দেখা যাক, সামনে কি হয়? এখনো আশা ছাড়িনি।’ বোঝাই গেল পায়ের পুরনো সমস্যাগুলো যাতে মাথা চাড়া না দেয়- তা আগে নিশ্চিত হতে চান। তবেই কেবল টেস্ট খেলার কথা ভাববেন। তার আগে সিমিত ওভারের ফরম্যাটেই থাকতে চান। তবে এবার বিসিএল খেলার কথা ভাবছেন তিনি। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে যে চার দিনের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ শুরু হচ্ছে, তাতে অংশ নিতে চান মাশরাফি। সোমবার দুপুরে সে কথাই জানান দিলেন, ‘দেখি বিসিএলে দু’একটি ম্যাচ খেলবো। ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের পক্ষে দেখা যেতে পারে আমাকে।’ কেন আপনার নিজ দল খুলনাঞ্চলে নয় কেন? নাহ, ঐ দলে ব্যাটসম্যান অনেক বেশি। আমি তামিমের দলে খেলতে পারি।’ হঠাৎ চার দিনের ম্যাচ খেলার কথা শুনে আবার ভাববেন না, এটা বুঝি টেস্টের প্রস্তুতি। মাশরাফির ভাবনায় আপাততঃ টেস্ট নেই। বিসিএল খেলাতে চান নিজেকে ফিট রাখতে। ম্যাচ প্র্যাকটিস ও ম্যাচ ফিটনেসটা ঝালিয়ে নিতে। ‘যেহেতু ইংল্যন্ডের সাথে ওয়ানডে সিরিজের আগে আর কোন প্রতিযোগিতামূলক খেলা নেই। তাই বিসিএলে অন্তত এক- দুটি ম্যাচ খেলতে চাই। তাতে ম্যাচ প্র্যাকটিসটা হবে।’ এদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি মাথায় আছে নির্বাচকদেরও। প্রধান নির্বাচকের সাথে কথা বলে জানা গেল, তারাও চান মাশরাফি বিসিএল খেলুক।তাই তো সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর মুখে এ কথা, ‘হ্যাঁ মাশরাফি ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে এক দুটি ম্যাচ খেলতে পারে।’ ইতিহাস জানাচ্ছে মাশরাফি ২০১৪ সালে জাতীয় লিগ ও বিসিএলে অংশ নিয়েছিলেন। ওই বছর তিনি জাতীয় লিগ নিজ বিভাগ খুলনার হয়ে এবং বিসিএলে ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের সাথে একটি করে চার দিনের ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন। এআরবি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement