খেলাধুলা

ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকার চার ক্রিকেটার

ফিক্সিংয়ের জনক(!) ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে। ২০০০ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার পর অবশ্য দুঘর্ঞটনার স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে চারজন ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। অপরাধ, ফিক্সিং। চারজনই স্থানীয় ক্রিকেটার। নিজেদের ঘরোয়া লিগ র্যাম-স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফিক্সিং কিংবা আর্থিক অনিয়ম করার কারণে। চারজন ক্রিকেটারের একজনকে ১২ বছরের জন্য, দু’জনকে ১০ বছরের জন্য এবং ১ জনকে সাত বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএ)।এই চারজনের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের সাবেক উইকেটরক্ষক থামি সোলেকিলে। ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি টেস্টও খেলেছিলেন তিনি। যদিও ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ওই তিনটি টেস্ট খেলার পর আর জাতীয় দলের দরজা নিজের জন্য খুলতে পারেননি সোলেকিলে। ১২ বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। ২০১৫ র্যাম স্ল্যাম টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এবং আয়-ব্যায়ের সঠিক প্রমাণ দিতে না পারার কারণে তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়।বাকি তিন ক্রিকেটার হলেন জীন সায়েমস, ইতি এমবালাতি এবং পুমেলেলা মাতসিকুই। এর মধ্যে জীন সায়েমসকে দেয়া হয়েছে ৭ বছরের নিষেধাজ্ঞা। নিজের জানা-অজানা অর্থের সঠিক উৎস দেখাতে না পারার কারণে দুর্নীতিবিরোধী আইনের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয় এবং এ কারণে সাত বছরের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন তিনি।ইতি এমবালাতি এবং পুমেলেলা মাতসিকুইকে দেয়া হয়েছে ১০ বছর করে নিষেধাজ্ঞা। ২০১৫ সালের র‌্যাম স্ল্যাম ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন ম্যাচ ফিক্সিং করার জন্য অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন বলে এ দু’জনের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে। নিজেদের আয়-ব্যায়ের উৎস সঠিকভাবে প্রমাণ করতে পারেননি এই দুই ক্রিকেটার। যে কারণে ১০ বছর করে নিষেধাজ্ঞার খাড়ায় পড়লেন তারা।এই চার ক্রিকেটারের ওপর নিষেধাজ্ঞার এই মেয়াদ শুরু হবে চলতি বছরেরই ১ আগস্ট থেকে। ক্রিকেট খেলা কিংবা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোন কিছুর সঙ্গেই তারা এই সময়ের মধ্যে যুক্ত হতে পারবেন না। জীন সায়েমস, মাতসিকুই এবং সোলেকিলে- এই তিনজনই ছিলেন লায়ন্সের ক্রিকেটার। আর এমবালাতি ছিলেন টাইটান্সের ক্রিকেটার। সোলেকিলে আবার ছিলেন লায়ন্সের অধিনায়কও।আইএইচএস/পিআর

Advertisement