বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোনো ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। তবে আসন্ন বিশ্বকাপে এমন রেকর্ড ভাঙ্গার আরেকটি সুযোগ তার দেশের ক্রিকেটাররা পাচ্ছে বলে মনে করছেন পাকিস্তানের সিনিয়র ব্যাটসম্যান ইউনিস খান।লাহোরে শনিবার সাংবাদিকদের ইউনিস বলেন, ইতিহাসে পরিবর্তন আনতে হবে এবং আমার বিশ্বাস আমরা এবার পরিবর্তন আনতে পারবো এবং এডিলেডের ম্যাচে ভারতকে হারাবো।১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে পাকিস্তান কোনো ম্যাচে ভারতকে হারাতে পারেনি। ৩৭ বছর বয়সী ইউনিস বলেন, অস্ট্রেলিযা ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে তিনি তার সাম্প্রতিক ফর্ম অব্যাহত রাখতে চান।পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে খেলার সময় জনগণ মনে করেছিলন ইউনিস বোধ হয় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তিনটি সেঞ্চুরি করেছি। বিশ্বকাপেও আমি এমন পারফরমেন্স করতে পারি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দুই দেশের মধ্যকার ম্যাচটি ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই ম্যাচের সকল টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে এবং ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দর্শকের দেখা ম্যাচ হতে পারে এটি।ইউনিস বলেন, পাকিস্তান দলে বেশকিছু ভালো খেলোয়াড় রয়েছে এবং সবাই নিজ দায়িত্ব পালন করলে ও দলগতভাবে খেলতে পারলে তারা ভারতকে হারাতে পারে।সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে এবং নিয়মে অনেক পরিবর্তন আসায় আসন্ন বিশ্বকাপে কোনো দলকেই ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না সিনিয়র এ খেলোয়াড়। তার মতে, শীর্ষ দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান কম থাকায় যে কোনো দলই বিশ্বকাপ জিততে পারে।তিনি বলেন, স্বাগতিক দেশ হিসেবে আপনি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কথা বলতে পারেন কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডও একটা সুবিধা পাবে। কিন্তু এমনকি তারা নিজেদের ফেবারিট হিসেবে অভিহিত করতে পারবে না।এ পর্যন্ত ২৫৯ ওয়ানডে খেলা ইউনিস বিশ্বকাপের পরই এ ভার্সন থেকে অবসর নেয়ার পরিকল্পনার কথাও উড়িয়ে দেন। আমি খুব শিগগিরই অবসরের কথা ভাবছি না। কারণ সত্যিকারভাবেই আমি এখনো খেলাটাকে উপভোগ করছি এবং আমার মধ্যে এখনো ক্রিকেট ক্ষুধা আছে। আমার ক্যারিয়ারে এখন সেরা সময় যাচ্ছে। এখনই সেরা সময়টাকে শেষ করতে চাই না।তিনি বলেন, পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলাটা ছিল তার জীবনের সেরা সময়গুলোর একটি এবং যতদিন ফিট ও ফর্মে থাকবেন ততদিন খেলা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, অবসর হবে আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।বিশ্বকাপের পরই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ও শহিদ আফ্রিদি। এ প্রসঙ্গে ইউনিস বলেন, কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে তাদের প্রশংসা করা দরকার। তারা তাদের শরীর, ফিটনেস এবং মানসিক অবস্থার কথা ভালো জানে। আমার সেরা সময় শেষ যখন মনে করবো তখন আমিও বিদায় নেবো।ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির পর পাকিস্তান ক্রিকেটের সুনাম ও ইমেজ ফিরিয়ে আনার জন্য মিসবাহর প্রশংসা করেন ইউনিস। তিনি বলেন, স্পট ফিক্সিং কেলেংকারির পর পাকিস্তান ক্রিকেট পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বড় ভূমিকা পালন করেছেন মিসবাহ। এ ছাড়া একজন অধিনায়ক হিসেবে দলে স্থিতিশীলতা আনতে তিনি অনেক অবদান রেখেছেন।
Advertisement