দুইশ পিস স্বর্ণের বার পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক কর্মচারিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর শুল্ক বিভাগ। শনিবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিমানের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মুরাদ ও বাইরে থেকে আসা মুন কনস্ট্রাকশনের কর্মচারী সাঈদ ও কার চালক রিয়াজ। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক (ডিজি) মঈনুল খান বিষয় নিশ্চিত করেছেন।তিনি জাগোনিউজকে জানান, গোপন সংবাদে জানা যায় শুক্রবার রাত আটটায় দোহা বিমানবন্দর থেকে ‘কিউআর ৬৩২’ নামে একটি বিমানে করে ২০০ পিস স্বর্ণসহ ৮ আর্ন্তজাতিক চোরাচালানকারী শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এ খবরের পর গোপনে নজরদারি বাড়ানো হয়। বিমানটি অবতরণের পর শুরু হয় তল্লাশী। কিন্তু বিমানের সিডিউল ব্রেক করে দুই ঘন্টাব্যাপি ওই স্বর্ণের বার উদ্ধারে অভিযান চালানো হলেও স্বর্ণের সন্ধান মেলে নি।তবে কোনো ধরণের পারমিশন ছাড়া বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মুরাদ বিমানবন্দরে প্রবেশ করলে সন্দেহের ভিত্তিতে পিছু নিয়ে তাকে আটক করেন উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার ফোনে একটি কল আসে। ওই নাম্বারটি ট্রাকিং করে দেখা যায় বিমানবন্দরের ক্যানোপি এলাকা (সুরক্ষিত এলাকা) থেকে কেউ একজন কথা বলেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে প্রিমিও কারসহ (গাড়ী নাম্বার-৩৫৯০০৭ ঢাকা মেট্রো-গ) রিয়াজ নামে ওই কার চালককে আটক করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজ জানান, তিনি মুরাদের কথায় বিমানবন্দরে পারমিশন ছাড়াই প্রবেশ করেছেন। স্বর্ণের বার নিয়ে তিনি কোথায় যাবেন বা কারা তার সাথে থাকবেন এব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেন তিনি। পরে আবারো ওই বিমানে অভিযান চালানো হলেও স্বর্ণেরগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।মুরাদের বরাত দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক (ডিজি) মঈনুল খান আরও জানান, আটজন আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি ২০০ পিস স্বর্ণের বার নিয়ে বিমাবন্দরে অবতরণ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, বিমানটি অবতরণের পর সবাই নেমে গেলে তাদের ৬ জন টয়টেলে ক্লিনাররা আসার আগেই স্বর্ণগুলো জুতার ভিতরে প্রবেশ করাবেন। এরপর সুবিধা মতো বেরিয়ে কারে উঠে সটকে পড়বেন। কিন্তু বাইরে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা স্বর্ণেরবার গুলো না নিয়েই বেরিয়ে যান।তিনি বলেন, ওই আর্ন্তজাতিক চোরাকারবারিদের সঙ্গে মুরাদের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে এই তিনজনসহ আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে দুদফা তল্লাশী চালিয়েও চোরাচালানের উদ্দেশ্যে আনা ওই ২০০ পিস স্বর্ণের হদিস মেলেনি। পরে বিমানটি পুনরায় দোহার উদ্দেশ্যে চলে যায়।তিনি জানান, স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় ১৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের বিমানবন্দর থানায় চালান করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।জেইউ, আরু
Advertisement