খেলাধুলা

স্লিপ ক্যাচিংয়ে দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ ফিল্ডিং কোচের

কোন প্রতিষ্ঠিত শক্তি বা টেস্টের বড় দলকে এক ম্যাচে দুবার অলআউট করতে যেমন ধারালো ও বৈচিত্রপূর্ণ বোলিং সামর্থ্য দরকার, পাশাপাশি স্লিপ ক্যাচিং পারদর্শিতাও খুব প্রয়োজন। আর বাংলাদেশের স্লিপ ক্যাচিং বরাবরই দূর্বল। সে অর্থে এখন পর্যন্ত স্লিপে কোন নিরাপদ ও বিশ্বস্ত ফিল্ডারই নেই। এমন একজন ক্রিকেটারের নাম বলা যাবে না, যার হাত নিরাপদ। স্লিপে ওঠা বেশিরভাগ ক্যাচ তালুবন্দী করার কেউ নেই। সেই হাত গলে স্লিপে সহজে কোন ক্যাচ বেরিয়ে যাবে না এমন নিশ্চয়তাও নেই। অথচ এটা দিবালোকের মত পরিষ্কার, দক্ষ স্লিপ ক্যাচার না থাকলে টেস্টে বোলিং সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন। এ সীমাবদ্ধতা কাটবে কবে? বাংলাদেশে কবে সেই মার্ক ওয়াহর মত নির্ভরযোগ্য স্লিপ ফিল্ডারের দেখা মিলবে? আদৌ তেমন কেউ বেরিয়ে আসবেন? ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল মনে করেন, এটা দীর্ঘ মেয়াদী বিষয়। হুট করে তেমন কাউকে পাওয়া যাবে না। তার অনুভব, একটি স্থিতিশিল দল ছাড়া স্লিপে সে অর্থে দক্ষ ফিল্ডার তৈরী সম্ভব না। নিজের এ বক্তব্যের স্বপক্ষে হাল সালের যুক্তি, ‘সবার আগে দরকার দলে স্থিতিশিলতা। এমন একটা লাইন আপ প্রয়োজন, যেখানে কে কীপিং করবেন, কে প্রথম স্লিপ, কে দ্বিতীয় স্লিপে দাড়াবে? তখন জানা যাবে থার্ড স্লিপ ফিল্ডারই বা কে? এ সব ঠিক থাকা জরুরী। এটা জানা থাকলে প্রথম ওয়ানডের আগে আমি অন্তত ২০ ঘন্টা স্লিপ ফিল্ডারদের ক্যাচিং প্র্যাকটিস করাতে পারবো। আমি যদি ১০ জনকে পাই তাহলে একজনকে দুই ঘন্টা করে ক্যাচিং অনুশীলন করাতে পারবো।’ ইংল্যান্ডের সাথে টেস্টে ভাল করার অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে স্লিপ ক্যাচিংকে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশ ফিল্ডিং কোচ। তার ব্যাখ্যা, নতুন বলে ক্যাচ ধরার তাৎপর্য্যই অন্যরকম। ধরা যাক ইংল্যান্ডের সাথে প্রথম ১০ ওভারে যদি আমরা কুক ও রুটের ক্যাচ ধরে ফেলতে পারি, তাহলে ম্যাচও আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসতে পারে। ওই মানের ব্যাটসম্যানদের জীবন দেয়ার মানে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন বেড়িয়েং যাওয়া।’ হ্যালসলের ধারনা, এখন যেহেতু খেলার চাপ নেই, তাই স্লিপ ক্যাচিং প্র্যাকটিস এবং স্লিপে দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য ফিল্ডার তৈরীরও এটাই সেরা সময়। তার ধারনা, সৌম্য সরকার স্লিপে বেশ ভাল ফিল্ডার। কিন্তু শেষ সিরিজে সে দুই ম্যাচ ফেলে দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। ওই দুই ক্যাচ হাতছাড়ায় ড্রেসিং রুমে নেমে এসেছিল হতাশা।’ এছাড়া হালসালের মুখে তামিম ইকবালেরও প্রশংসা। তবে তার মূল্যায়ন, তামিম ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ধরায় যতটা দক্ষ, ম্যাচে ততটা নয়। তাইতো মুখে এমন কথা, ‘তামিম প্র্যাকটিসে দারুণ ক্যাচ ধওে; কিন্তু কেন যেন ম্যাচে সে আস্থা পায় না। তাকে বিশ্বাস করতে হবে, আমি যদি বিসিএলে ক্যাচ ধরতে পারি, তাহলে টেষ্টেও পারবো।’ বাংলাদেশ ফিল্ডিং কোচের শেষ কথা, ‘আমরা যদি ক্যাচ ধরায় দক্ষতা বাড়াতে পারি, তাহলে ভাল ফলেও অনেক সহায়ক হবে।’  আইএইচএস/আরএস

Advertisement